নতুন দিল্লি, ৫ জানুয়ারি: পঞ্জাবে (Punjab) দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে অবরোধের জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে ফিরে আসতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)। নিরাপত্তায় গাফিলতির (Security Lapse) অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, "পঞ্জাবে আজকের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় নিরাপত্তার এই ধরনের অবহেলা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং এর জবাব চাওয়া হবে।"
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুর দলীয় সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি, এইরকমই ঠিক ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে গাড়িতেই সড়কপথে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। কারণ, সেখানে লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। আরও পড়ুন: Civil Services (Main) Examination 2021: পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে সিভিল সার্ভিসেস (মেন) পরীক্ষা, জানিয়ে দিল ইউপিএসসি
The Ministry of Home Affairs has sought a detailed report on today’s security breach in Punjab. Such dereliction of security procedure in the Prime Minister’s visit is totally unacceptable and accountability will be fixed: Union Home Minister Amit Shah pic.twitter.com/QLT48c9HL9
— ANI (@ANI) January 5, 2022
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "খারাপ আবহাওয়া এবং বিক্ষোভের কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সফর বন্ধ করতে বলেছিলাম। তাঁর আকস্মিক রুট পরিবর্তনের কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি ছিল না। যদি কোনও নিরাপত্তা ত্রুটি থাকে, তাহলে আমরা তদন্ত করব। প্রধানমন্ত্রীর জন্য কোনও বিপদ ছিল না। গত একবছর ধরে কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছেন। আমি কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করতে পারব না। আমরা গতরাতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, এরপরই তাঁরা আন্দোলন তুলে নিয়েছে। আজ, হঠাৎ করে কিছু আন্দোলনকারী ফিরোজপুর জেলায় জড়ো হয়েছিলেন।"