শাহিনবাগে চন্দ্রশেখর আজাদ (Photo Credits: Twitter)

নতুন দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে (anti-CAA) যোগ দিতে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) পৌঁছালেন ভীম সেনাপ্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Bhim Army chief Chandrashekhar Azad)। বুধবার সেখানে উপস্থিত হয়ে যুব সমাজের উদ্দেশে চন্দ্রশেখর বলেন, কেন্দ্রের বিপজ্জনক প্রকল্প সিএএ-কে রুখতে এই শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে যোগ দিন। তিনি বলেন, “ শুধু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার বা এনআরসি-কে বন্ধ করে দেওয়াই নয়। ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্যই এই সংগ্রাম। বিজেপি সরকারের কবল থেকে দেশের সংবিধানকে রক্ষা করাই আমাদের লড়াইয়ের অন্যতম বক্তব্য।” এদিন শাহিবাগে পৌঁছাতেই ভীম সেনাপ্রধানকে সাদরে বরণ করে নেন আন্দোলনকারীরা। সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রতিলিপি হাতে নিয়েই আন্দোলন স্থলে পৌঁছান চন্দ্রশেখর আজাদ।

তিনি বলেন, বাবা সাহেব আম্বেদকরের কথা। ভারতকে গড়ে তুলতে তাঁর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। সেই অবদানকে কেউ গুঁড়িয়ে দেবে এটা হতে পারে না। জামা মসজিদের সামনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যোগ দিয়ে গত ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ভীম সেনাপ্রধান। তিহাড় জেলে তাঁর ঠাঁই মিলেছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি মুক্তি পেয়েই বলেছিলেন, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মুসলিমরা একা নন। আদালতের রায় ছিল, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হলে জিতে যান আজাদ। মঙ্গলবারই দিল্লি প্রবেশের অনুমতি পেতেই বুধবার শাহিনবাগে পৌঁছে গেলেন দলিত নেতা। মূলত চিকিৎসার প্রয়োজনে ও ভোটের কাজে দিল্লি আসতে পারবেন তিনি। তবে আগে থেকে তাঁর রোজনামচা দিল্লি পুলিশকে জানাতে হবে। আরও পড়ুন-CAA Row: সুপ্রিম রায়ে সিএএ-এনপিআর এ স্থগিতাদেশ নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে আইনের পক্ষে জবাব দিক কেন্দ্র

জামা মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তারির পর ভীম সেনাপ্রধানকে কম হেনস্তা করেনি রাজধানীর পুলিশ। সেই মামলা তিস হাজারি কোর্টে উঠলে পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। সাফ জানান, জামা মসজিদ পাকিস্তানে নয় যে তার সামনে আন্দোলন করার অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে। আর যদি পাকিস্তানেও হত তবে তা অবিভক্ত ভারতেরই অংশ, এটা মনে রাখতে হবে।