ফাইল ছবি

নতুন দিল্লি, ১৪ অক্টোবর: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। কালোবাজারি (Black Market) রুখতে বিমুদ্রাকরণের (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার (Narendra Modi Government)। অর্থাৎ বাজার চলতি সমস্ত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে বাজারে নতুন নোট আনার পদক্ষেপ নিয়েছিল মোদি সরকার। ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটের বদলে নতুন ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের আমদানি করা হয়েছিল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। এই সিদ্ধান্তের কট্টর বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। বিতর্ক-পাল্টা বিতর্ক এড়িয়ে তবু ফের ভারতের মসনদে বসেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি (Narendra Damodar Das Modi)। এই সিদ্ধান্তের বিরোধীদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি (Bangali Economist Abhijit Banerjee)। আজ যার নাম অর্থশাস্ত্রে নোবেলজয়ী হিসেবে উঠে এসেছে।

মোদী সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, 'বিমুদ্রাকরণের যুক্তি কী, বুঝতে পারিনি।' ২০১৭ সালে নিউজ ১৮-কে (News 18) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে (Interview) অভিজিৎ জানান, "যেহেতু আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি ছেড়ে বেসরকারি সংস্থার আকারেরপরিমাপ করি, তাই সেক্ষেত্রে বলতে গেলে আমাদের জিডিপির তথ্য সম্ভবত অর্থনৈতিক ক্ষতির তুলনায় চলেছে।" নোটবন্দির মূল যুক্তি ছিল কালোবাজারির মোকাবেলা করা। যা পরবর্তীতে অর্থহীন অর্থনীতির সূচনা করেছিল বলে অনেকের মতামত। এর প্রভাব সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? এই প্রশ্নের উত্তরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানিয়েছিলেন, "আমি মনে করি নগদহীন অর্থনীতির এহেন পরিস্থিতি অবধারিত ছিল। কারণ এমন সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে দুর্নীতিকে রোখা সম্ভব হলেও স্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা এভাবে সম্ভব নয়। " আরও পড়ুন:Nobel Prize: নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি সম্পর্কে এই ১০ টি তথ্য জানতেন?

দীলিপ ঘোষের পোস্ট করা ভিডিও -

উল্লেখ্য, একজন বাঙালি হিসেবে অর্থশাস্ত্রে একজন বাঙালির নাম উঠে আশায় উচ্ছসিত বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিজের ফেসবুক পেজে (Facebook Page) বাঙালি নোবেলজয়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, "বাংলার গৌরবের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো- অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী শ্রী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়।"