Shakib Al Hasan (Photo Credit: @_FaridKhan/ X)

বাংলাদেশে বিতর্কের মাঝে অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লিগের প্রাক্তন সংসদ সদস্য তথা সাকিব-আল-হাসান (Shakib Al Hasan) তার হ্যাচারিতে সরবরাহ করা নরম খোলসের কাঁকড়ার টাকা পরিশোধ করেননি। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদসংস্থা 'দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'-এর খবর অনুসারে, মুন্সীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশে থাকা জুলফিকার আলী সাকিবের হ্যাচারিতে নরম খোলসের কাঁকড়া সরবরাহ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা কাঁকড়া সরবরাহ করেছি এবং মাস শেষে পাওনা পেয়েছি। ম্যানেজার রেকর্ড রেখে দিলেন। এখনো আমার পাওনা ৫-৬ লক্ষ টাকা। শাকিব, তার বন্ধু পাভেল, ইমদাদসহ আরও এক ব্যক্তি খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত সাকিবের কারণেই আমরা তাদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করি। মেমোতে তার নাম ছিল।' জুলফিকার আলী বলেন, '২০২১ সালে খামারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমরা নানাভাবে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।' Dr.Muhammad Yunus: কুর্সিতে বসার আগেই বঙ্গের জন্য বিশেষ বার্তা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবী প্রধান মহম্মদ ইউনুসের

তিনি আরও বলেন, 'প্রায় এক বছর আগে আমরা মাগুরায় সাকিবের বাড়ি গিয়েছিলাম বাবার সঙ্গে দেখা করতে। তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। পাওনা টাকার প্রমাণ হিসেবে মেমোগুলো এখনো আমার কাছে আছে।' জুলফিকার আলী আরও অভিযোগ করেন, বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের গুরু দাস সাকিবের ৩০ লক্ষ টাকা পাওনা থাকায় হতাশায় মারা গেছেন। তিনি বলেন, 'সাকিবের খামারে শক্ত খোলসের কাঁকড়া সরবরাহ করতেন গুরু দাস। তার কাছে পাওনা ৩০ লক্ষ টাকা। আমরা সাকিবের বাড়ি গেলাম, কিন্তু তার বাবা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আমাদের বের করে দেন। গুরু দাসের ব্যবসা ধুঁকছিল এবং তিনি টাকা পুনরুদ্ধার করতে পারেননি। তিনি স্ট্রোক করে এবং মারা যান।'

বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন ইউপি পরিষদ সদস্য হায়দার আলী বলেন, 'আমরা ১৩-১৪ জনের দল মিলে সাকিবের কাছে এক কোটি টাকার বেশি পাওনা আছি। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই। কাঁকড়া সরবরাহের জন্য আমার এখনো ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আমার অঙ্ক কম হলেও অন্য পাওনাদারদের কাছে বড় অঙ্কের পাওনা রয়েছে।' কোভিড-১৯ মহামারির সময় সাকিবের কাঁকড়ার হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গেলে জমির মালিকদের বাৎসরিক চুক্তির টাকা পরিশোধে বিলম্ব করেন। তারা মানববন্ধন করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানান। সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের পর জমির মালিকরা তাদের টাকা পেয়েছেন।