মহারাষ্ট্রে মহাজয় মহাযুতির (Mahayuti)। ইন্ডিয়া জোটকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে আবারও সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা-এনসিপি জুটি। জয় তো নিশ্চিত হয়েছে, এবার প্রশ্ন হচ্ছে আগামীদিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? কারণ গতবার যেভাবে সরকার গড়েছিল, সেখানে শিন্ডে শিবির শিবসেনা না ছাড়লে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের (Devendra Fadnavis) স্বপ্ন বাস্তব হত না। গত নির্বাচনে বিজেপির দখলে ছিল ১০৫টি আসন। ফলে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) এহং এনসিপির অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar) ভূমিক ছিল অন্যতম। তবে এবারের পরিস্থিতি গতবারের থেকে অনেকটাই সদর্থক বিজেপির পক্ষে। খুববেশি হেরফের না হলে বিজেপি এবার ১২২-১২৫টি আসন লাভ করতে চলেছে।

তবে এত আসন পেয়েও শান্তি নেই বিজেপি শিবিরের। কারণ শিবসেনা (শিন্ডে) ও এনসিপি (অজিত পাওয়ার) এই দুটি দল যদি মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বেঁকে বসে তাহলে মহাযুতির সরকার গড়া হবে না। ফলে আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছে তা এখনই চোখ বন্ধ করে কোনও দলই বলতে পারছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে যখন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনিও যেমন বলেছেন যে প্রতিটি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নিয়ে বৈঠক করবে, তারপরেই এই নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ঠিক একই রকমের উত্তর পাওয়া গেল ফড়নবীশের গলাতেও। তিনিও এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কে হবে এই নিয়ে কোনও দলের নেতাদের মধ্যেই বিরোধ থাকবে না। বৈঠকের পর যা হবে সেই সিদ্ধান্তই সকলকে মেনে নিতে হবে।

যদিও এই জয়ের পেছনে ফড়নবীশের অবদান অনস্বীকার্য বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ গতবার যেখানে ১০৫টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, সেখান থেকে আরও ২০টি আসন বাড়তে চলেছে তাঁদের। সর্বোপরি মহাযুতির সাফল্যের পেছনে কারিগর এই ফড়নবীশেরই। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার পর একনাথ শিন্ডের কিছু জনমুখী প্রকল্পের কারণও এই জয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির প্রধান দাবেদার এই দুজনই রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে এখন দেখার আগামীদিনে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসতে চলেছেন কে?