দিসপুর ২ জুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) প্রভাব কেটে গেলেও শক্তি কমিয়ে তা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে অসমে বন্যা (Assam Flood) দেখা দিয়েছে। ক্রমেই অবনতি হচ্ছে অসমের পরিস্থিতি। বন্যার প্রভাবে এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। শুক্রবার পর্যন্ত অসমের ১১টি জেলা মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন লক্ষে। শনিবার তা ছয় লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। শনিবার বন্যার জেরে নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যে। অসম সরকারের বন্যা সংক্রান্ত বুলেটিনে প্রকাশ করা হয়েছে সেই পরিসংখ্যান।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে অসম (Assam Flood)। জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন নদী বরাক, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী কোপিলি এবং বরাকের শাখানদী কোশিয়ারার জলস্তর বিপদসীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। হু হু করে জল ঢুকছে বসতি এলাকায়। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, দোকান, বাজার ভেসে গিয়েছে সব কিছুই। কৃষিজমি জলে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষবাসেও। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দিনরাত এক করে চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধার কাজ। অসমের বন্যায় জনজীবনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রানীরাও। এখনও অবধি ৮৯টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবিরাম বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রভাব করেছে ট্রেন চলাচলেও। রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির জেরে শনিবার পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অসম ভাসছে বন্যায়। এরই মাঝে উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে।