নয়াদিল্লি: আর মাত্র ২৯ দিন বাকি। তারপরই ২০০০ টাকার নোট ফেরত দেওয়া কিংবা বদলে নেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যাঙ্কগুলিতে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার অন্তিম তারিখ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ৯৩ শতাংশ ২০০০ টাকার নোট ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফেরত এসেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) সূত্রে সংবাদমাধ্যমেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া রিপোর্ট মোতাবেক, অগাস্ট মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত ভারতের খোলা বাজারে ০.২৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০-এর নোট সচল রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বাদবাকি ৭ শতাংশ নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির হাতে চলে আসবে।
বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা গত ১৯ মে করা হয়েছিল। তারপর মে মাসের তারিখ থেকে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়া কিংবা জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের ৩০ তারিখে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ এরপর থেকে নতুন নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত, ২০০০ টাকার নোট আর বদলানো কিংবা জমা করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ২০০০ টাকার নোট তখন বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। আরবিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে. দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে যে ডেটা হাতে এসেছে, তাতে এখনও পর্যন্ত মোট ৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট ফেরত এসেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে। আরও পড়ুন : Delhi : বিপুল পরিমান বিদেশী মুদ্রা সহ ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টে ধৃত ১ বিদেশী
আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকা ভারতীয় নাগরিকও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছে ২০০০ টাকার নোট ফেরত দিতে বা বদলাতে পারবেন। এক্ষেত্রে এক দফায় সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বদলানো যাবে। এখনও পর্যন্ত বাজারে চালু থাকা যে সমস্ত ২০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে বা বদলানো হয়েছে, তার মধ্যে ৮৭ শতাংশ জমা অর্থাৎ ডিপোজিট করা হয়েছে এবং বাকি ১৩ শতাংশ বদলে নেওয়া হচ্ছে কম মূল্যের নোটে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ২০০০ টাকার নোট সবচেয়ে উচ্চমূল্যের। এর আগে ১০০০ টাকার নোট সবচেয়ে বেশি মূল্যের নোট ছিল। ২০১৬ সালে ৫০০ টাকার নোটের সঙ্গে তা বাতিল করে নতুন করে ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার। এখানে উল্লেখ্য, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে শেষ বার ২০০০ টাকার নোট নতুন করে ছাপা হয়েছিল। নতুন করে নোট না ছাপানোর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল, খোলা বাজারে পর্যাপ্ত মাত্রায় ২০০০ টাকার নোট রযেছে।