Representational Image (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৫ অগস্ট: করোনভাইরাস (Coronavirus) মহামারীর মধ্যে এই বছর জেইই, নিট ২০২০-র (JEE & NEET 2020) পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি পরীক্ষার কেন্দ্রে ব্যক্তিগত বোতলে জল এবং স্যানিটাইজার নিতে হবে। প্রবেশ পথে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মেপে দেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় বাড়ি থেকে পরে আসা মাস্কটি খুলে ফেলতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে যে মাস্কটি দেওয়া হবে সেটিই পরতে হবে।

প্রতিটি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ঘর থাকবে যাদের দেহের তাপমাত্রা যার ৯৯.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি ওই ঘরে বসাতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকানো হবে। অ্যাডমিট কার্ড এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রবেশের সময় বলে দেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় হাত সাবান হবে। এনটিএ পরীক্ষার্থীদের নিজে থেকে ঘোষণা করতে বলেছে, তাদের করোনা উপসর্গ রয়েছে কিনা তা জানাতে। তবে নির্দেশিকাটিতে এটি স্পষ্ট করে বলে দেওয়া নেই, কনটেন্ট জোন থেকে প্রার্থীদের পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হলে তারা সম্প্রতি কোনও কোভিড-পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কী হবে। আরও পড়ুন, জয়েন্ট ও নিট প্রবেশিকার পরীক্ষা স্থগিত করা হোক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি মমতা ব্যানার্জির

এইসব নির্দেশিকা জারি করেছে এনটিএ। তবে বিরোধী দলগুলির দাবি, এবছর পরীক্ষা স্থগিত হোক। আগামী সপ্তাহেই জয়েন্ট ও নিট ২০২০-র প্রবেশিকা পরীক্ষা। মহামারীর মধ্যে নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে কংগ্রেস। আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, "একবার ছাত্রদের মনের কথাও (স্টুডেন্টস কে মন কি বাত) শুনে নিন।" অধীর চৌধুরীর তীব্র প্রতিক্রিয়া,"শারীরিকভাবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় তারা কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে পারবে এ বিষয়ে সকলেই প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।" মমতা ব্যানার্জিও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি টুইট করে লিখেছিলেন,"আমি আরও একবার আর্জি জানাচ্ছি, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা স্থগিত করা হোক।" পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে বামপন্থী দলগুলিও।