জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে একটা যুগের অবসান। এনসিপি-র প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার ২৩ বছর পর দলের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। আর এই কথাটা ঘোষণা করতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না এনসিপি বিধায়ক জয়ন্ত পাতিল। সাংবাদিকদের সামনে ৮২ বছরের পাওয়ারের পদত্য়াগের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বারবার কাঁদলেন জয়ন্ত। ছলছলে চোখেই এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বললেন, শরদ পাওয়ারকে নিয়ে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ছে। ক্ষমা করবেন, কান্না থামাতে পারছি না।"তবে শুধু একটা জয়ন্ত পাতিল নয়, এনসিপি-র নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই পাওয়ার পদত্যাগে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝেই এনসিপি নেতাদের দেখা গেল পাওয়ার শোকে।
দলের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের সামনেই শরদ পাওয়ারের কাছে বারবার আবেদন করতে থাকেন তিনি যেন পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নেন। শরদ পাওয়ার অবশ্য সেই অনুরোধ রাখেননি। তার পাশে বসে থাকা ভাইপো অজিত পাওয়ার বললেন, শরীর ভাল না থাকাতেই তিনি সরছেন। তবে তিনি পদে না থাকলেও দলের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে যাবেন বলে দাবি করেন অজিত পাওয়ার।
সোনিয়া গান্ধীর বিদেশিনী ইস্যুতে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ১৯৯৯ সালের জুনে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি গঠন করেছিলেন শরদ পওয়ার। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পাশাপাশি দেশের রাজনীতিতেও বড় ভূমিকা নেয় এনসিপি। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে শরদ পাওয়ারের উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের নামই সবচেয়ে বেশী করে আসছে। যে অজিত পাওয়ারের দলের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে দু বছর আগে বিজেপি-র সঙ্গে গিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। তবে শরদ পাওয়ারের কথা শুনে তিনি ফের এনসিপি-তে ফিরে মহা আগড়ি জোটের উদ্ধভ ঠাকরে সরকারের মন্ত্রী হন।
দেখুন ভিডিয়ো
#WATCH | NCP leader Jayant Patil breaks down after party chief Sharad Pawar announces that he will step down as party president. pic.twitter.com/nDCu9iX2OG
— ANI (@ANI) May 2, 2023
কিন্তু ক দিন আগে অজিত পাওয়ার আবার বিজেপি শিবিরের ঘনিষ্ঠ হয়ে একনাথ শিন্ডের সরকারে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বলে জোর জল্পনা চলছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শরদ পাওয়ার। সম্প্রতি অজিত ইস্যুর সঙ্গে পাওয়ার পদত্য়াগের কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।