এনকাউন্টারের ঘটনাস্থল (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: তেলেঙ্গানা ধর্ষণ ও খুনের মামলার চার আসামীকে এনকাউন্টারে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বমহিমায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ইতিমধ্যেই সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে এনএইচআরসি। নিজেরাই শুরু করেছে তদন্ত। কমিশনের দাবি পুলিশওই চার অভিযুক্তকে খুন করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যখন নিজের তদন্তকারী দল পাঠিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখ ধোঁয়াশা কাটাতে চাইছে, তখন পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় তেলেঙ্গানা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, হেফাজতে বন্দিকে মেরে ফেলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

এদিকে কমিশন পুলিশ সুপার ও বড়কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি গঠন করে এই এনকাউন্টারের যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও একটিও শব্দ খরচ করেননি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এদিকে এনকাউন্টার বিষয়ে বিশদ জানতে তৎপর কেন্দ্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেননা যেহেতু সংসদে অধিবেশন চলছে, মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সব তথ্য জোগার করে তৈরি থাকতে হবে। অন্যদিকে এনকাউন্টারের সময় নিয়ে দু রকম তথ্য উঠে এসেছে তেলেঙ্গানা পুলিশের কথায়। সাইবারাবাদ পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে ভোর ৩.৩০-এ এনকাউন্টার হয়েছে। পরে সরকারি বিবৃতি দেওয়ার সময় শামশাবাদের ডেপুটি কমিশনার এন প্রকাশ রেড্ডি জানান, 'সকাল ৬.৩০টা নাগাদ অপরাধের পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের নিয়ে অপরাধস্থলে যায় আমাদের লোকেরা। তখনই তাঁদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পালটা গুলি ছোড়ে পুলিশও।' আরও পড়ুন- President Ram Nath Kovind: পকসো আইনে দোষী সাব্যস্তরা যেন ক্ষমা ভিক্ষার সুযোগ না পায়, বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

পুলিশ জানিয়েছে, পশু চিকিত্‍‌সককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেসাভুলুর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ভোর রাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য অভিযুক্তদের অপরাধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। তখনই ৪৪ নং জাতীয় সড়কের উপর শুরু হয় এনকাউন্টার। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। দেশের একাংশ যে এনকাউন্টারের ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেবে তা স্পষ্টই। কিন্তু হায়দরাবাদের পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বরং পুলিশের নামে জয়ধ্বনি চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে।