রামনাথ কোবিন্দ (Photo Credit IANS)

নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: গোটা দেশ যখন হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর খুন কর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল। যখন ধর্ষকদের এনকাউন্টারে পুড়িয়ে মারল পুলিশ, তখন আমজনতা খুশিতে রাস্তায় নেমে মিষ্টি বিলি করছে। তখন পকসো আইনে দোষী সাব্যস্তদের কঠিন সাজার বিষয়ে সহমত পোষণ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাত কোবিন্দ। পকসো আইনের আওতায় দোষীরা (convicted under POCSO Act) যেন ক্ষমা ভিক্ষার (mercy petition) সুযোগ না পায়, রাজস্থানের সিরোহিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। এমনই একটা সময় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য প্রকাশ্যে এল যখন উন্নাও থেকে শুরু করে নির্ভয়া, মুম্বই, মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, একের পর এক নারকীয় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে দেশজুড়ে হইচই পড়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের দিনে দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়া একটা গুরুতর সমস্যার জায়গায় পৌঁছেছে। যেকোনও মূল্যে শিশুকন্যা ও নাবালিকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পকসো আইনে অভিযুক্তদের ক্ষমা বিক্ষার আবেদনগুলি সংসদ আগে পর্যালোচনা করুক। তারপর তা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হোক। ২০১২-তে দিল্লিতে নির্ভয় গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড প্রত্যেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ভারতীয়র বুকে একটা দগদগে ক্ষতর মতো বিষিয়েছে। নির্ভয়ার হন্তারকরা নাকি প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছে। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাত ঘুরে পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতির কাছে। এই দেখে রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন। কেননা নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীরা কোনওভাবেই মুক্তি পেতে পারে না। এটা জানার পরও কিকরে এমএইচএ এই আবেদন রাষ্ট্রপতি ভভনে পাঠালো তানিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আরও পড়ুন-Hyderabad Encounter: বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, পুলিশ কখনওই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না; হায়দরাবাদ এনকাউন্টার প্রসঙ্গে মানেকা গান্ধীর গলায় উল্টো সুর

অনেকদিনের রাগ দুঃখ অপমান ও গ্লানির স্তূপের মাঝে স্বস্তি নিয়ে এল শুক্রবারের সকাল। গোটা ভারত যখন ঘুমের দেশ থেকে ফিরছে ঠিক তখনই হল সেই খবর। হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় চার ধৃতকেই এনকাউন্টারে উড়িয়ে দিয়েছে সাইবারাবাদ পুলিশ। সৌজন্য সেখানকার পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার (VC Sajjanar)। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেসাভুলুর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। দাবি, ভোররাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের অপরাধস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চারজন। তখনই ৪৪ নং জাতীয় সড়কের উপরে এনকাউন্টার ধৃতদের মৃত্যু হয়।