মানেকা গান্ধী (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর:  পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মারল পুলিশ। সারা দেশ যখন সাইবারবাদ পুলিশের কৃতিত্বের জয়গান গাইছে। তখন উল্টো সুর শোনা গেল বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধীর (Maneka Gandhi) গলায়। তিনি বললেন, এই এনকাউন্টারের ঘটনাটি যথেষ্ট ভয়ের। পুলিশকে এনিয়ে কড়া কথা শুনিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার পুলিশের নেই। ধর্ষকদের সাজা দিতে পারে এখমাত্র কোর্ট। দেশে আইন আছে বিচার ব্যবস্থা আছে। কোর্ট তাদের ফাঁসির সাজা শোনাতে পারত। তবে তার আগেই এনকাউন্টারে ধর্ষকদের মেরে ফেলা হল। তাহলে আর আইনের দরকার কি। কোর্ট কাছারি রেখেও কাজ নেই। পুলিশেরও দরকার নেই।”

উল্লেখ্য, শ্রীমতি মানেকা গান্ধী যতই রেগে যান না কেন, অসন্তোষ প্রকাশ করুন না কেন, দেশের সাধারণ মানুষ এই এনকাউন্টারে দারুণ খুশি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেই একথা বললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনি বলেন, উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ড বা হায়দরাবাদের নারকীয় ঘটনা। দিনের পর দিন এসব শুনতে শুনতে মানুষ ক্ষিপ্ত। তাই তো সাইবারবাদের পুলিশ যখন ধর্ষকদের এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা করে দিল তখন মানুষের মনে খুশি ধরছে না। এখানে চিন্তার বিষয় একটাই যে দেশের বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতার উপরে মানুষ আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। দোষী তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়ে না। আর পড়লেও নানান কৌশলে তার জামিন হয়ে যায়। ফাঁসির সাজার বদলে কিছুদিন জেলে খেটে ফের বাইরে এসে স্বমূর্তি ধারণ করে। আদালত কিছুই করতে পারে না। এই যে ধারণা মানুষের মনে তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটি খুব বিপজ্জ্নক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভ দেশের বিচার ব্যবস্থার উফরে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আরও পড়ুন-Hyderabad Vet Rep And Murdar Case Encounter: হায়দরাবাদে এনকাউন্টারের নেপথ্যে আইপিএস ভিসি সাজ্জানার, ফের একবার স্মৃতি থেকে বাস্তবে ওয়ারঙ্গলের ঘটনা

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) বলেছেন, “যা ঘটেছে তাতে নীতিগত সমর্থন রয়েছে। তবে আগে জানতে হবে যে অপরাধীরা সশস্ত্র ছিল কি না। যদি এমন কিছু থেকে থাকে তাহলে পুলিশের গুলি চালনাতে কোনও ভুল নেই। তাই এই একাউন্টার নিয়ে নিন্দা করার আগে বিষয়টি বিশদে জানা জরুরি। তবে যেখানে আইনের শাসন রয়েছে সেখানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না।”