Delhi Bill 2023: অসাংবিধানিক! প্রায় বিরোধীশূন্য লোকসভায় পাশ দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩
Photo Credits: ANI

নয়াদিল্লি: সারাদিন বহু বিতর্কের পর অবশেষে পাশ হল ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩ (National Capital Territory of Delhi (Amendment) Bill, 2023)। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে চলে যাওয়ায় প্রায় বিরোধী শূন্য কক্ষে বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করল চাণক্য হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি তথা এনডিএ সাংসদরা। সংসদে গণ্ডগোলের জেরে বর্ষাকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছেন আপ সাংসদ সুশীল কুমার রিঙ্কু।

বিল পাশের বিষয়টিকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Congress MP Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, "যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন নির্বাচিত একটি সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া সংবিধান বিরোধী। যখন সংসদে আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে গেলাম তখন আমাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের নির্বাচনী বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। অন্তত আজকের জন্যই তিনি মণিপুরের ঘটনার জন্য লজ্জিত হতে পারতেন। যদি আমরা সংসদে আমাদের চিন্তাভাবনার কথা বলার কোন সুযোগই না পাই আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী বক্তব্য শুরু করে দেন, তাহলে ওয়াক আউট করা ছাড়া আর কোনও উপায়ই থাকে না আমাদের।"

সংসদে দাঁড়িয়ে বিলের বিরোধিতা করা মিম প্রধান ও হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (AIMIM MP Asaduddin Owaisi) বলেন, "ওরা অনেক বেশি সংখ্য়াগরিষ্ঠ। আমরা আগেই জানিয়েছিলাম এটি একটি অসাংবিধানিক বিল। এই বিল ভারতের মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই এর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যখন এটা সুপ্রিম কোর্টে যাবে তখন ওরা বিষয়টা দেখবে। প্রতিটি দলের নিজেদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা তাই কক্ষে ছিলাম ও বিলের বিরোধিতা করেছি।"

এদিকে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু, বিরোধীরা জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আলোচনা না করেই পালাচ্ছে এবং সংসদের প্রক্রিয়াতে বাধা দিচ্ছে। আজকে কেজরিওয়াল সরকারের সত্যিটা সামনে এসে গেছে। আমি জেডি (ইউ)-এর সভাপতি লালন সিংকে বলতে চাই যখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত হয় তখন উনি আমাদের সঙ্গেই ছিলেন, যে দুর্নীতিতে লালু যাদব ও অন্যরা গ্রেফতার হয়েছিল। এবার কী হল এটা? এসব কী লোকলজ্জার ভয়ে! আসলে একেই বলে সুবিধাবাদের চূড়ান্ত।"