মুম্বই, ৭ এপ্রিল: মহামারী করোনার ভয়াবহতাকে মনে রেখেই মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে প্রতিবেশী দেশগুলিতে প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquine) সরবরাহের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। মূলত প্রতিবেশী দেশের সক্ষমতার উপরে নজর রেখেই এই ওষুধ সরবরাহ করা হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর টুইটে জানা গিয়েছে, যেসব দেশ মহামারী করোনায় বিধ্বস্ত, সেই সব দেশে এই প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি সরবরাহ করবে কেন্দ্র। এই বিষয়ে কোনওরকম জল্পনা চলুক বা রাজনীতি হোক তা চাইছে না বিদেশ মন্ত্রক। আগেই এদিন ওষুধ তৈরির ২৪টি উপাদানের রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল তা তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। মূলত, করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারীর চেহারা নিতেই গতমাসে ওষুধের উপদান রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল্লি।
এদিকে রবিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে একপ্রস্থ বার্তালাপ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষট্রকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করুক ভারত, এমনটাই চান তিনি। ইচ্ছে মতো কাজ না হলে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক টুইটে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমি রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যদে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মার্কিন মুলুকে সরবরাহ করেন তাহলে আমরা খুশি হব। যদি তিনি এই ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা না তোলেন তাহলে ঠিক আছে। তবে এর বদলা নেওয়ার সুযোগ আমাদেরও আসবে।” আরও পড়ুন- World Health Day 2020: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে দেশবাসীকে টুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
We will also be supplying these essential drugs to some nations who have been particularly badly affected by the pandemic. We would therefore discourage any speculation in this regard or any attempts to politicise the matter: Ministry of External Affairs (MEA) #COVID19 https://t.co/T4BPoXkLDM
— ANI (@ANI) April 7, 2020
ট্রাম্পের তথ্যানুসারে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনাকে ঘায়েল করতে মহৌষধের মতো কাজ দিচ্ছে। যদি এই ওষুধ করোনা সারাতে পারে তাহে তা ঈশ্বরের উপহার বলেই ধরে নিতে হবে। আগামী কয়েকটা সপ্তাহে মার্কিন মুলুকে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক থেকে দুলক্ষ লোকের মৃত্যু হবে। এখনও পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৭ হাজার চার জন। যার মধ্যে আবার ১০ হাজার ৮৭১ জনের মৃত্যু ঘটে গেছে। ওয়ার্ল্ডো মিটারের তালিকানুসারে মারণ রোগে ক্ষয়ক্ষতির শীর্ষে রয়েছে মার্কিন মুলুক। এরপর একে একে আসছে, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও চিন।