নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল: বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে (World Health Day 2020) এক বিশেষ টুইট বার্তায় দেশবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নিজের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি অপরের জীবনকে সুরক্ষিত করতেও অনুরোধ করেন নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ রাখেন যাতে তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি সকলে কৃতজ্ঞ থাকেন। যাঁরা মহামারী করোনাকে রুখতে একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন। টুইটের সিরিজে প্রধানমন্ত্রী এক জায়গায় বলেন, এই বিশেষ দিনটি থেকে হয়তো মানুষ গোটা বছর ধরে শরীরকে সুস্থ রাখার প্রতি নজর দেবে। যদি তেমনটা ঘটে থাকে তাহলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত ও সুরক্ষিত হবে।

তিনি আরও বলেন, “আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এদিন শুধু প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য কামনার মধ্যেই প্রার্থনা থেমে থাকা উচিত নয়। একই সঙ্গে সেই সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত, যাঁরা সাহসের সঙ্গে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন। বছরভর শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে আজকের দিনটা হয়তো আমাদের অনুপ্রেরণা হতে পারে। যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখবে।” সাত এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আসলে নার্স, চিকিৎসকদের উদযাপনের দিন। এই তালিকায় পড়েন সেইসব রাষ্ট্রনেতারাও যাঁরা বিশ্বের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২১-মৃত ১১৪, লকডাউন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করলেন কেসিআর

এদিকে মঙ্গলবার ভারতে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো ৪ হাজার ৪২১-এ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে মারণ রোগে মৃতের সংখ্যা ১১৪। সব থেকে সঙ্গীন অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। দিল্লির তবলিঘি জমাতের কারণে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৩। দিল্লিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ৫৪৯ জন। দেশের মধ্যে প্রথম করোনার গ্রাসে যায় কেরালা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরে কেরালারই নাম ছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭ জন। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান। যেখানে আক্রান্তের গড় সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।