ভোপাল, ২ সেপ্টেম্বর: শিশুদের মধ্যে ডায়েরিয়া যাতে মহামারির আকার নিতে না পারে সেজন্য টীকা করণের ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। এজন্য রোটা ভাইরাসের টীকা দেওয়া চলছে। সেই টীকা দিতে গিয়েই বড়সড় বিপত্তি ঘটে গেল মধ্যপ্রদেশে। টীকাকরণের পরে পরেই এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন শিশুর টীকাকরণ সম্পন্ন হয়েছিল। বাকিরা প্রত্যকেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই টীকার জেরে চিকিৎসাধীন প্রতিটি শিশুর অবস্থাই সংকটজনক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের উজ্জয়নের লিমবোদা গ্রামে।
এদিকে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে টীকাকরণ আধিকারিক কেসি ভার্মা বলেছেন, দুর্ঘটনার পরে পরেই টীকাকরণের খালি অ্যাম্পুল ও ভর্তি অ্যাম্পুল গুলিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। টীকার অ্যাম্পুলে কোনওরকম অন্তর্ঘাতের চিহ্ন মিললে বিপদে পড়বেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে কারোর সুনির্দিষ্ট কোনওরকম গাফিলতিতেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরও পড়ুন-মিড-ডে মিলের মেনুতে নুন রুটি খাচ্ছে পড়ুয়ারা, এই ছবি প্রকাশ্যে এনে পুলিশের কোপে উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিক
KC Verma, Immunisation Officer: 5 children were also given the same vaccine that was given to this child. We are being told that the rest of them fell ill too and had to be admitted in hospital. (01.09.2019) https://t.co/WUrFOxulzM
— ANI (@ANI) September 2, 2019
মৃত শিশুটি ছাড়া বাকি যাদের ওই একই টীকা দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কারোরই শারীরিক পরিস্থিতি তেমন ভাল নয়। গত আগস্ট মাসেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মহামারিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে সরকারা। শিশুরা যাতে কোনওভাবে মহামারিতে আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্য বিবিধ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। রোটা ভাইরাসের টীকা দিয়ে আগেথেকেই তাদের শক্ত সমর্থ তৈরি করতে হবে। য়াতে ডায়রিয়া এসেও মহামারির আকার ধারণ করতে যাতে না পারে। সেকারণেই এই টীকাকরণের পদ্ধতি ফের শুর হয়েছিল। তবে এই ঘটনার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাকি অ্যাম্পুলগুলি কোনওভাবে কারাপ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও সমস্যা না থাকলে অন্য পদ্ধতি নিতে হবে। জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে রোটা ভাইরাসের টীকাকরণ শুরু হলেও দেশের মাত্র ২৮টি রাজ্যে এই টীকা পাওয়া গিয়েছে।