নতুন দিল্লি, ২০ মার্চ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বড় ঘোষণা করল রেল (Indian Railways)। রেলে কার্যত 'জনতা কারফিউ' (Janata Curfew)। আজ রেলের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন (Passenger Trains) চলবে না। তবে যে ট্রেনগুলি যেগুলি সকাল ৭টা পর্যন্ত যাত্রা করে ফেলেছে সেগুলিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে। তবে যে ট্রেনগুলিতে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই থাকবে না সেই ট্রেনগুলির যাত্রাপথ আগেই শেষ করে দেওয়া হবে। এজন্য নজর রাখা রাখা হবে। দূর পাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি ট্রেন, যেগুলির যাত্রা ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টার মধ্যে সেগুলি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের সংখ্যা অন্তত ১৩০০। তবে যে ট্রেনগুলি সকাল ৭টা পর্যন্ত যাত্রা করে ফেলেছে সেগুলি গন্তব্যে পৌঁছবে।
পাশাপাশি, রবিবার 'জনতা কারফিউ' চলার সময় মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই ও সেকেন্দ্রাবাদে শহরতলির ট্রেনগুলির সংখ্যাও ন্যূনতম করে দেওয়া হবে। যে সব যাত্রী ট্রেন বাতিলের কারণে স্টেশনে আটকে পড়বেন ও স্টেশনেই থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলের ওয়েটিংহল, ওয়েটিং রুমে তাঁরা থাকতে পারবেন। তবে গাদাগাদি করে কাউকে রাখা হবে না। জল ও অন্য পরিষেবা পাওয়া যাবে। ট্রেন বাতিলে যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রেল। এছাড়া আগাম নোটিশ না দেখে যদি অনেক যাত্রী কোনও বড় স্টেশনে জড়ো হয়ে যায়, তবে ভিড় কমাতে রেল বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: অবিলম্বে কলকাতা থেকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করা হোক, নরেন্দ্র মোদিকে বললেন মমতা ব্যানার্জি
এদিকে, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) জানিয়েছে, মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে অন বোর্ড ক্যাটারিং পরিষেবা পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া অবধি বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বিভিন্ন স্টেশনের ফুড প্লাজা, রিফ্রেশমেন্ট রুম, জন আহার এবং সেল কিচেন।
গতকাল দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময়ে রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত 'জনতা কারফিউ' পালন ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে না বের হওয়ার আহ্বান দিয়েছেন তিনি।