শ্রীনগর, ১ অক্টোবর: ক মাস আগে হওয়া লোকসভা ভোটের মতই ভূ-স্বর্গের নির্বাচনে ভোটদাতারে উতসাহ দেখা গেল । তৃতীয় তথা শেষ দফায় হওয়া রাজ্যের ৪০টি আসনে ভোট পড়ল ৬৫.৪৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশী ভোটদানের হার দেখা গেল উধমপুরে (৭৩ শতাংশ)। গত ১৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ৬১.৩৮% ও ২৫ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ৫৭.৩১ % ভোট পড়েছিল। তার মানে তিন দফা মিলিয়ে ভূ স্বর্গের বিধানসভা ভোটে ৬১ শতাংশের ওপর ভোট পড়ল।
এদিন রাজ্যের ৬টি জেলার ৪০টি অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়। ভূ-স্বর্গে এবারের বিধানসভার ভোটগ্রহণ পর্বকে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এর আগে কখনও জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে এত ভোট পড়েনি বলে জানিয়েছে কমিশন।
ভোট নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য গোটা উপত্যকায় গত কয়েক দিন ধরে দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল। রাস্তার চারিদিকে, বুথের বাইরে পাহারায় ছিল সেনা, নিরাপত্তাবাহিনী, পুলিশ। শেষ অবধি ভালভালই মিটল তিন দফার ভোটগ্রহণ।
এবার ফলের পালা। আগামী ৮ অক্টোবর হরিয়ানার সঙ্গে একই দিনে ভূ স্বর্গের ৯০টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা হবে। আগে ঠিক ছিল ৪ অক্টোবর এই দুই রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশিত হবে। কিন্তু ছুটির কারণে হরিয়ানার ভোট পয়লা অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ৫ অক্টোবর হওয়ায় ভোট গণনাও পিছিয়ে ৮ অক্টোবর হয়ে যায়।
ভোট মেটার পর ভাল ফলের আশায় সব পক্ষই। মূলত লড়াই ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস জোটের সঙ্গে বিজেপির। তবে কাশ্মীরের কয়েকটি আসনে মেহবুবা মুফতির পিডিপি, ও কিছু আসনে নির্দলরা বড় ফ্যাক্টার হতে পারে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বিধানসভা ভোট বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষার। কশ্মীরবাসী এই সিদ্ধান্তটা কতটা গ্রহণ করেছে তা বোঝা যাবে ৮ অক্টোবর। লোকসভায় সম্মানজনক ফল করে ঘুরে দাঁড়ানো কংগ্রেস, ফারুক-ওমর আবদুল্লার কাছেও জম্মু-কাশ্মীরের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৫ অক্টোবর, শনিবার হরিয়ানার ভোট মিললেই এক্সিট পোলের ফল বের হবে। যদিও লোকসভা ভোটের পর থেকে এক্সিট পোলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তেমন আস্থা কারোরই নেই।