নতুন দিল্লি, ৬ নভেম্বর: এবার রাজধানীর অত্যাচারিত পুলিশকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন পুদুচেরির উপ-রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা কিরণ বেদি (Kiran Bedi )। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব অবশ্যই পুলিশের বড় কর্তাদের। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, সেই প্রসঙ্গ নিয়েই এদিন মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘মহিলা ও পুরুষ পুলিশ কর্মীরা যাতে তাঁদের উর্দি, পেশা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশ্বাস না হারায় তা দেখতে হবে। যখন নির্ভয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে ওই পুলিশকর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন, তখন তাঁদের সুরক্ষার ভার তো উপর মহলকে নিতেই হবে।’
কিরণ বেদি হলেন প্রথম মহিলা আইপিএস, যাঁর জন্য দিল্লির পুলিশ মহল সদর দপ্তর ঘিরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। সেই সমাবেশ থেকেই একটাই আওজা উঠছে, কিরণ বেদিকে পুনরায় তাঁর পদে ফিরিয়ে আনা হোক, তাহলেই রাজধানীর পুলিশকর্মীরা বাঁচবেন। কিরণ বেদির মতো পুলিশকর্তাকে আক্রান্ত অত্যাচারিত পুলিশ মহল কতটা ভালবাসে তা এই স্লোগানেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আইনজীবীদের হাতে একের পর এক আক্রান্ত হওয়ার পর সহ্যের বাঁধ ভাঙে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police)। সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে বেনজির বিক্ষোভ (Tis Hazari Violence) দেখাতে শুরু করে পুলিশমহল। উর্দি পরেই সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে বসে যান পুলিশকর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিক্ষোভরত পুলিশকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন রাজধানীর পুলিশ কমিশনার অমূল্য পটনায়েক (Amulya Patnaik)। একই সঙ্গে পুলিশকর্মীদের উপরে ঘটে যাওয়া হামলার প্রতিকারেও আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। এই সময়টা পুলিশের জন্য বেশ কঠিন। এরপরেও একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে রাজধানীর আইনের রক্ষক আমরা তাই তা দেখভালের দায়ও আমাদেরই। আরও পড়ুন- Delhi Police On Tis Hazari Violence: শান্ত হয়ে নিজেদের কাজে যোগ দিন, দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না, বিক্ষোভরত পুলিশকর্মীদের আশ্বাস দিলেন রাজধানীর কমিশনার অমূল্য পটনায়েক
মঙ্গলবার দিনভর যখন উত্তপ্ত রইল রাজধানী, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর টিকি কোথাও দেখা গেল না। ক্ষোভে ফুটছে পুলিশ মহল। একটাই দাবি, কর্মীদের প্রিয় পুলিশ কর্তা কিরণ বেদিকে ফিরিয়ে আনা হোক। গত ২ নভেম্বর শনিবার দিল্লির তিসহাজারি আদালতের পার্কিং এরিয়ায় এক আইনজীবীর গাড়িতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কাকে কেন্দ্র করেই যত বিপত্তি। এর জেরে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে আদালত চত্বর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। অভিযোগ, এরপর আইনজীবীদের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। উত্তেজিত আইনজীবীরা ভাঙচুর চালান একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেন। আইনজীবীদের পাল্টা অভিযোগ, কয়েকজন পুলিশ কর্মী এক নিরস্ত্র আইনজীবীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, পুলিশের গাড়িতে তুলে ব্যাপক মারধরও করে।