অমূল্য পটনায়েক (Photo Credits: ANI)

দিল্লি, ৫ নভেম্বর: আইনজীবীদের হাতে একের পর এক আক্রান্ত হওয়ার পর সহ্যের বাঁধ ভাঙে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police)। সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে বেনজির বিক্ষোভ (Tis Hazari Violence) দেখাতে শুরু করে পুলিশমহল। উর্দি পরেই সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে বসে যান পুলিশকর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিক্ষোভরত পুলিশকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন রাজধানীর পুলিশ কমিশনার অমূল্য পটনায়েক (Amulya Patnaik)। একই সঙ্গে পুলিশকর্মীদের উপরে ঘটে যাওয়া হামলার প্রতিকারেও আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। এই সময়টা পুলিশের জন্য বেশ কঠিন। এরপরেও একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে রাজধানীর আইনের রক্ষক আমরা তাই তা দেখভালের দায়ও আমাদেরই।

সুবিচারের দাবিতে পুলিশের এই গণবিক্ষোভের পিছনে রয়েছে অন্যকাহিনী। গত ২ নভেম্বর শনিবার দিল্লির তিসহাজারি আদালতের পার্কিং এরিয়ায় এক আইনজীবীর গাড়িতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কাকে কেন্দ্র করেই যত বিপত্তি। এর জেরে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে আদালত চত্বর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। অভিযোগ, এরপর আইনজীবীদের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। উত্তেজিত আইনজীবীরা ভাঙচুর চালান একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেন। আইনজীবীদের পাল্টা অভিযোগ, কয়েকজন পুলিশ কর্মী এক নিরস্ত্র আইনজীবীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, পুলিশের গাড়িতে তুলে ব্যাপক মারধরও করে। এর পর, মঙ্গলবার পুলিশের বেনজির এই বিক্ষোভে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। তড়িঘড়ি সদর দফতরের বাইরে বেরিয়ে আসেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বাহিনীর সদস্যদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘এটা পুলিশের পরীক্ষার সময়।” আরও পড়ুন-

এদিকে দিল্লি পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অভিযোগ, পর পর উর্দির উপর আক্রমণ নেমে আসার পরও কোনও ব্যবস্থা নেননি দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। অভিযোগ, বাহিনীর সদস্যদের পাশে থাকার পরিবর্তে, নীরব দর্শকই থেকেছে তাঁদের উঁচু তলা। আইনজীবীদের মারমুখী ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজধানীতে শোরগোল পড়ে যায়।