বর্তমান যুগে ভারতের মতো যেকোনও দেশ চালাতে প্রয়োজন হয় প্রচুর ডেটার। দেশের পরিকাঠামোর অবস্থা, কোথায় মেরামত এবং উন্নতির প্রয়োজন, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান অবস্থা, সবকিছুর ডেটা খুবই জরুরি। এছাড়া সরকারী ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলছে কিনা এবং সেগুলো সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, এসবেরও তথ্য সংগ্রহ করা এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা খুবই জরুরি। ভারতের এই পরিসংখ্যান বিজ্ঞানের জনক বলা হয় প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে। প্রতি বছর ২৯ জুন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্মদিন উপলক্ষে পালন করা হয় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস।
১৮৯৩ সালের ২৯ জুন কলকাতা জন্মগ্রহণ করেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। কলকাতার ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজে জগদীশ চন্দ্র বসু এবং প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন তিনি। এছাড়া কলেজে তাঁর জুনিয়র ছিলেন মেঘনাথ সাহা এবং সুভাষ চন্দ্র বসু। ১৯১২ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান তিনি। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ছিলেন একজন পশ্চিম ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ। স্বাধীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি।
মহলানবিশ দূরত্ব নামক পরিসংখ্যানগত পরিমাপের জন্য বিখ্যাত প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। ১৯৫০ সালে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ভারতীয় নমুনা সমীক্ষা এবং ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভার পরিসংখ্যান উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। পরিসংখ্যান বিষয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অবদানের জন্য তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস। যুবসমাজকে পরিসংখ্যান শিখতে উৎসাহিত করা হয় এদিন। পরিসংখ্যানের মৌলিক ধারণাগুলো বোঝার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।