Photo Credits: Pixabay

নয়াদিল্লি: তথ্য জানার অধিকার আইনের (Right to Information Act) সৌজন্যে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) থেকে হারিয়ে গেছে (missing) ৮৮, ০৩২.৫ কোটি টাকার ৫০০-র নোট (500 rupees notes)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদন করেছিলেন সমাজকর্মী মনোরঞ্জন রায় (Activist Manoranjan Roy)। তারপরই জানা যায়, দেশের তিনটি টাঁকশাল (three mints) থেকে ৫০০ টাকার নতুন নোট মোট ৮,৮১০.৬৫ মিলিয়ন পিস বের করা হয়েছিল। কিন্তু, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) কাছে মাত্র ৭,২৬০ মিলিয়ন পিস নতুন নোট গিয়ে পৌঁছেছে।

এদিকে নিখোঁজ হওয়া ১,৭৬০.৬৫ মিলিয়ন পিস নতুন ৫০০ টাকার নোট যার বাজারমূল্য ৮৮,০৩২.৫ কোটি তার কোথাও কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সমাজকর্মী মনোরঞ্জন রায়। যা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ভারতের তিনটি টাঁকশালে নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। সেই তিনটি টাঁকশাল হল কর্নাটকের (Karnataka) রাজধানী বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) অবস্থিত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ (পি) লিমিটেড (Bharatiya Reserve Bank Note Mudran (P) Limited)। মহারাষ্ট্রের (Maharastra) নাসিকে (Nashik) অবস্থিত কারেন্সি নোট প্রেস (Currency Note Press) এবং মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দেওয়াসে (Dewas) অবস্থিত ব্যাঙ্ক নোট প্রেস (Bank Note Press)।

আরটিআই থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৬-১৭ সালে নাসিকের টাঁকশাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে মোট ১,৬৬২ মিলিয়ন পিস নতুন ৫০০ টাকার নোট সরবরাহ করা হয়। বেঙ্গালুরুর টাঁকশাল থেকে ওই একই সময়ের মধ্যে আরবিআইকে সরবরাহ করা হয়েছিল ৫,১৯৫.৬৫ মিলিয়ন পিস নোট আর দেওয়াস টাঁকশাল থেকে করা হয়েছিল ১,৯৫৩ মিলিয়ন পিস।  ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসিকে নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল ৩৭৫.৪৫০ মিলিয়ন পিস। কিন্তু, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে গিয়ে পৌঁছয় মাত্র ৩৪৫ মিলিয়ন। আর নিখোঁজ ১৭৬০.৬৫ মিলিয়ন পিসের মধ্যে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ২১০ মিলিয়ন ছাপানো হয়েছিল নাসিকে। এই তিনটি টাঁকশালে নোটগুলি ছাপানো হয়েছিল যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর ছিলেন রঘুরাম রাজন। আরটিআই-এর মাধ্যমে এই তথ্য জানার পরেই নিখোঁজ নোটগুলো কোথায় গেল তা তদন্ত করার জন্য মনোরঞ্জন রায় চিঠি লিখেছেন সেন্ট্রাল ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Central Economic Intelligence Bureau) ও ইডি (ED)-কে। আরও পড়ুন: NSA Doval On Netaji: 'নেতাজি বেঁচে থাকলে ভাগ হত না ভারত', দাবি অজিত ডোভালের