
নতুন দিল্লি, ২৬ মার্চ: সামনে বিরাট যুদ্ধ অপেক্ষা করছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে প্রচুর আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন রয়েছে। এই কাজে এবার এগিয়ে এল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেলের কারকানায় ভেন্টিলেটর তৈরি করে কোচের সঙ্গে জুড়ে রেললাইনে তুলে দিলেই রেডি আইসোলেশন ওয়ার্ড। ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা দিতেই এই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। কেরালার কোচির একটি সংস্থা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে সবিস্তার একটি প্ল্যান দিয়েছে। দেশে এখন ১২,৬১৭টি দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে। যেগুলিতে ২৩ থেকে ৩০টি কোচ রয়েছে। ওই সংস্থার হিসাবে প্রতিটি ট্রেনকে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট মোবাইল হাসপাতালে রূপান্তরিত করে ফেলা সম্ভব। দেশে সাড়ে সাত হাজার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কাউকে আইসোলেশনে রাখতে হলে সরাসরি ওই ট্রেন-হাসপাতালেই অ্যাডমিট করা যেতে পারে। তা ছাড়া বড় কথা হল, ট্রেনে প্যান্ট্রি কারও রয়েছে। তাই খাবার সরবরাহ করতেও অসুবিধা হবে না। তাছাড়া গ্রামীণ ভারতে ঠিকমতো হাসপাতাল নেই। এই বিপর্যয়ের সময় পরিষেবা দিতে রেল আইসোলেশনের বিকল্প আর কিছু হবে না। কেননা, লকডাউনের কারণে সেখানে হয়তো ডাক্তার, চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছাতে পারছে না। তবে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গিয়েছে রেললাইন। স্বাভাবিকভাবেই আইসোলেশনের সুবিধাযুক্ত ট্রেন সেখানে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবে। আরও পড়ুন- Coronavirus Outbreak In India: সংক্রমণ ঠেকাতে জেলবন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দিচ্ছে হরিয়ানা, মেয়াদ শেষ হওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ফেরানো হচ্ছে
জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে কয়েক সপ্তাহ আগেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল। মঙ্গলবার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ রয়েছে। তাই প্রয়োজন মতো সেখানে কোচ নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। শুধু রেলকে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানোর ভাবনাতেই থেমে নেই কেন্দ্রের মোদি সরকার। বরং এ ধরনের অভিনব আরও অনেক ভাবনা নিয়েও বিবেচনা করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, সরকার চেষ্টা করছে সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় তা সুনিশ্চিত করতে। কারণ বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারতে সংক্রমণ রুখতে না পারলে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।