চণ্ডীগড়, ২৬ মার্চ: রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিল হরিয়ানা সরকার (Hariyana government)। বুধবার এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর জানালেন, জেলের বেশকিছু বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। মূলত সংক্রমণ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়াও চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিরা যাঁদের অবসরের মেয়াদ সবে শেষ হয়েছে তাঁদের কর্মজীবনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। যাতে এই জরুরি অবস্থায় পরিষেবার কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। বন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পাবে। যারা প্যারোলে আছে তাদের সময়সীমা বাড়ানো হল। সবমিলিয়ে চার সপ্তাহের জন্য জেলের বাইরে থাকতে পারবে।
যেসব জেলবন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিয়মিত থানায় হাজিরা দিয়েছে। আবার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর জেলে ফির গিয়ে ভাল আচরণ করেছে তারা ছয় সপ্তাহের বিশেষ প্যারোলে মু্ক্তি পাচ্ছে। তবে সবটাই নির্ভর করছে বন্দির কৃতকর্মের উপরে। তবে সব বন্দিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে কি না তা-ও ভেবে দেখা হচ্ছে। রাজ্যবাসীকে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসা সহায়তা দিতেই সবে মেয়াদ শেষ হোযা চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি পরিষেবায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আরও পড়ুন-One More COVID-19 Positive Case In West Bengal: রাজ্যে নতুন ১ জন করোনায় আক্রান্ত, সংক্রামিতর সংখ্যা এখন ১০
কজন নার্সের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ মিলতেই হরিয়ানায় আক্রান্তেরসংখ্যা পৌঁছালো ১৭-তে। ওই নার্স কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের দেখভাল করছিলেন। তিনি এমন এক হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন যেখানে ১৪ জন ইটালির পর্যটক ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যেকেই করোনায় সংক্রামিত। প্রায় একমাস ধরে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানেই তাঁদের দেখভালের জন্য ওই নার্সকে দায়িত্ব দেওয়া। তবে ১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। ১৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ১০ জন গুরুগ্রামের। বাকি চারজন যথাক্রমে সোনিপথ, পালওয়াল, পঞ্চকুলা ও ফরিদাবাদের।