করোনার আতঙ্ক Representational Image (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ২৬ মার্চ:  এবার বোধহয় রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল। নয়াবাদ এলাকায় ৬৬ বছরের এর প্রৌঢ়ের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। তিনি বিদেশে যাননি। তাঁর বাড়ির কেউই বিদেশে থাকেন না। বিদেশ থেকে ফিরে কেউ তাঁর বাড়িতে আসেনওনি। তাঁকে নিয়ে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ১০। মঙ্গলবার ২৩ মার্চ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় এবং বুধবার রিপোর্ট আসে পজিটিভ। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত যে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে তাঁর বিদেশ যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা কথা শোনা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল ওই ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশে যাননি। এমনকি তাঁদের পরিবারের কেউই বিদেশে যাননি সাম্প্রতিক সময়ে। তবে পরে শোনা গিয়েছে ওই পরিবারে একজন বিদেশ থেকে এসেছিলেন।

এদিকে নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও বিদেশ যোগ নেই। এই সময়টা রাজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে এই সপ্তাহে। নয়াবাদে প্রৌঢ়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কার ছায়া প্রবল। তাহলে কী রাজ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেল? রাজ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন লন্ডন ফেরত এক তরুণ। এরপর আক্রান্ত হন বালিগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবক। প্রথমজনের পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও দ্বিতীয় আক্রান্তের পরিবারের তিন সদস্যের শরীরে কোভিড ১৯ সংক্রমণের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। হাবরার বাসিন্দা স্কটল্যান্ড ফেরত এক তরুণীর শরীরেও মিলেছিল করোনাভাইরাসের নমুনা। এরপর দমদমের বাসিন্দা বছর ৫৭-র এক প্রৌঢ়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মিশর এবং ব্রিটেন ফেরত দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সব আক্রান্তই ভর্তি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। আরও পড়ুন- Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যু, দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৬০০

এমনিতে প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণার পরেপরেই রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিনের বেলা বাড়ির বাইরে বেরোলেই পুলিশের লাঠির ঘা অবধারিত। তার উপরে যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয় তাহলে আতঙ্কের পারদ চড়বে।