Jammu and Kashmir: ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে পরেই নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনার সংখ্যা বাড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তান
জম্মু ও কাশ্মীর (Photo Credit: (ANI)

নতুন দিল্লি, ১১ নভেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের (J&K) ওপারে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে সীমান্তের (LoC) ওপারে বিভিন্ন লঞ্চপ্যাডে জঙ্গির সংখ্যাও বাড়িয়ে চলেছে। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৫-এর এ ও ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ এবং উপত্যকার বিশেষ স্টেটাস খর্ব করার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে অতিসক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের খুন করে চলেছে জঙ্গিরা। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ ব্যাখ্যামূলক রিপোর্ট তৈরি করে তা কেন্দ্রকে জমা করেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্র সবকিছুই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জমা করেছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের উপরে মুহুর্মুহু আক্রমণের জন্যই এই পরিকল্পনা।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সীমান্তের এপাড়ে জনবসতি অঞ্চলকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে গোলাগুলি বর্ষণ শুরু করেছে পাকা সেনা। একাজে জঙ্গিদেরও লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০০০ বিশেষ সেনাকে সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে এসেছে পাকিস্তান, কোনও বড় রকমের হামলার জন্যই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এক লক্ষ ১৩ হাজার ভারতীয় সেনার বিপক্ষে লড়তে ৯০ হাজারের কাছাকাছি অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতও অতিরিক্ত নয় লক্ষ সেনা কাশ্মীরে মোতায়েন করেছে। এছাড়াও সেখানে আগে থেকে রয়েছে দুই লক্ষ ৩১ হাজার সেনা। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর আরও এক লক্ষ সেনা মোতায়েন হয়েছে উপত্যকায়। সীমান্তে দুই দেশের সেনা সংখ্যার মুহুর্মুহু বৃদ্ধিতে বেশ বিপাকে সেখানকার বাসিন্দারা। গোলাগুলি, নিরন্তর খানা তল্লাশি, সেনা টহলের কারণে সেখানকার সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত। আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: শিবসেনার সরকার গঠনে সঙ্গ দেবে কে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বৈঠকে বিজেপি-এনসিপি-কংগ্রেস

এদিকে সীমান্তে সেনা বৃদ্ধির কারণ হিসেব পাকিস্তান বারবার সাফাই দেয় যে দেশের পশ্চিম দিকে আফগানিস্তানের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত। তাই সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে একের পর এক যু্দ্ধ বিরতি লঙ্ঘন থেকে শুরু করে জঙ্গি হামলার ঘটনাই বলে দেয় পাকিস্তানের সঠিক উদ্দেশ্যটা আসলে কী। তবে এতদিনে সীমান্তে হামলার ঘটনাকে মেনে নিয়ে পুরোদমে কৌশল সাজাতে ব্যস্ত পাক সেনা, যা ভারতের জন্য ভয়াবহ বৈকি।