বাংলা এবং ওডিশায় ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৯মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে সেই একটি ঘূর্ণিঝড়। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়তে পারে সে বিষয়ে এখনও আবহাওয়া দপ্তরের তরফে কিছু জানানো হয়নি।তবে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তাই ইতিমধ্যেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের যাতে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয় এবং তাঁদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
মৌসম ভবনের মতে আগামী ৬ মে শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ৭ তারিখ তা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ ৮ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারপর ৯ মে শক্তি বাড়িয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এটি।শেষ পর্যন্ত কোথায় ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড়ের বা তা কতটা শক্তিশালী হবে, তার দিকে নজর রাখছে আবহাওয়া দপ্তর।
মার্কিন বেসরকারি আবহাওয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, বঙ্গোপসারে মাথাচাড়া দেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোচার ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। তবে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি মৌসম ভবন।তবে বাংলায় কোনও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী সপ্তাহ থেকে শহর এবং রাজ্যজুড়ে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, তার পূর্বাভাস এখনও মেলেনি। জলভাগে এর অবস্থান যত বেশি স্থায়ী হবে, তত বেশি শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে।এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের নয়টি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং কলকাতা। বুধবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। এর মধ্যে আছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান।