নতুন দিল্লি, ৮ জুলাই: চলতি বছরের শেষে যদি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল না হয় তাহলে দেশে হু হু করে বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। আগেই রাশিয়াকে এই ক্ষেত্রে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। এবার আমেরিকা ও ব্রাজিলকে টপকে করোনা আক্রান্তের বিচারে শীর্ষস্থানে চলে যাবে দেশ। এই প্রসঙ্গে এক স্টাডিতে এমন উদ্বেগের কথা শোনালো ম্যাসচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)। বলা হল, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রতিদিন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হেত পারেন ২ লক্ষ ৮৭ হাজার মানুষ। অর্থাৎ প্রায় ৩ লক্ষ জনতা প্রতিদিন মারণ ভাইরাসের কবলে পড়বে। রীতিমতো সীমাক্ষা করেই তথ্য দিয়েছে MIT।
জানা গিয়েছে, MIT-র স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের তরফে ৮৪টি দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণের উপরে চলেছে সমীক্ষা। তাতেই এই ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। সমীক্ষকদের বক্তব্য, সংক্রমণের হার বাড়াটাই সবথেকে বড় উদ্বেগের কারণ। এই প্রবণতা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের দিকে, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে সংক্রামিতের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে, যে দেশগুলি বেশি প্রভাবিত হবে তার শীর্ষে নাম রয়েছে ভারতের। তার পরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আমেরিকা। সমীক্ষকদের বক্তব্য, প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা কম করার জন্যই এ ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যে হারে করোনাভাইরাসের টেস্ট চলছে তা থেকে যদি বাড়ে বা করোনা টেস্ট বাড়ার পাশাপাশি সংক্রমণের হারও বাড়তে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মার্চে বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হবে ২০-৬০ কোটির মধ্যে। এমনটাই বলছে MIT-র সমীক্ষার হিসেব। আরও পড়ুন-Dr BR Ambedkar House Vandalised: আম্বেদকরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, প্রমাণ লোপাটে ভাঙা হল সিসিটিভি ক্যামেরা
সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে যখন প্রতিদিন গড়ে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার নতুন করোনা রোগী মিলবে তখন আমেরিকা থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। সেখানে প্রতিদিন নতুন কের আক্রান্ত হবে ৯৫ হাজার বাসিন্দা। দক্ষিণ আফ্রিকায় দিনপ্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ২১ হাজার থাকবে। ইরানে প্রতিদিন আক্রান্ত হবেন ১৭ হাজার বাসিন্দা। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতেই এই ভয়াবহতা দেখবে বিশ্ব।