আহমেদাবাদ, ২৪ এপ্রিল: শুক্রবার ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা (আইডিএমএ) জানিয়েছে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquine) উত্পাদন এক মাসে ৩৫-৪০ কোটি ট্যাবলেট তৈরি হচ্ছে এবং ভারতে এই ওষুধের কোনও অভাব হবে না। এএনআই-এর একটি টুইট অনুসারে, আইডিএমএ গুজরাটের চেয়ারম্যান বিরাঞ্চি শাহ বলেছেন, করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় এক মাসে দেশে ৩৫-৪০ কোটি টাকার বেশি এইচসিকিউ ট্যাবলেট তৈরি হচ্ছে। "আমাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের বর্তমান উত্পাদন ক্ষমতা একমাসে ৩৫-৪০ কোটির ট্যাবলেট। এটি আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
এই মাসের শুরুতে, ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্স (আইপিএ) বলেছিল যে চাহিদা পূরণের জন্য ফার্মা সংস্থাগুলি মূল ওষুধের উত্পাদন বাড়িয়ে তুলছে। এটি আশ্বাস দিয়েছিল যে দেশে অন্যান্য মূল ওষুধের পাশাপাশি দেশীয় ও রফতানির জন্য উভয় চাহিদা অনুযায়ী ম্যালেরিয়া অ্যান্টি-ট্যাবলেট 'হাইড্রোক্সিক্লোলোকুইন' পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা যায়। আরও পড়ুন, শুক্রবার দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ২৩ হাজার ৭৭, গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ রোগের কবলে ১৬৮৪ জন
Our current production capacity of Hydroxychloroquine is 35-40 Cr tablets a month. This is 10 times more than our requirement. There is no shortage of HCQ in India: Viranchi Shah, Chairman, Indian Drug Manufacturers’ Association, Gujarat chapter pic.twitter.com/5fqLNRkRLa
— ANI (@ANI) April 24, 2020
ভারতে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্যা ছাড়ালো ২৩ হাজার। এই মুহূর্তে দেশে মারণ ভাইরাসের কবলে ২৩ হাজার ৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৮৪ জন। মৃত ৩৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে ১৭ হাজার ৬১০ জন এখন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৪ হাজার ৭৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। মৃতের সংখ্যা ৭১৮। দেশে সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৬ হাজার ৪৭ জন। বৃহস্পতিবার সারা দিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৭৭৮ জন। ১৪ জনের মৃত্যুও ঘটেছে। সবমিলিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ২৮৩। গত ৬ এপ্রিল হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়।
ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ এইচসিকিউ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। ভারতে কোভিড -১৯ এর কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৩.৩ শতাংশ এবং হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ) এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চলছে।