বহু বছর আগে হিন্দি সিনেমার একটি বিখ্যাত গানের মাধ্যমে ঠান্ডা জলে গোসল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল মানুষকে। গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা জলে গোসল করা খুবই সাধারণ, কিন্তু কড়া শীতে ঠান্ডা জলকে এত সম্মান দেওয়া উচিত? শীতকালে যখন তাপমাত্রা ক্রমাগত হ্রাস পায়, তখন কি ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল করা উচিত? এক গবেষণা থেকে পাওয়া গিয়েছে এর উত্তর। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ঠান্ডা জলে গোসলের রয়েছে অনেক উপকারিতা।

স্বেচ্ছায় ঠান্ডা জলে স্নান করার পরে মানুষের স্বাস্থ্যের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে করা হয় গবেষণা। শীতকালে ঠান্ডা জলে গোসল করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, এতে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত হয়। শীতকালে ঠান্ডা জলে গোসল করলে রক্তকণিকা সঙ্কুচিত হয় এবং পরে সেগুলো প্রসারিত হয়, যার কারণে শরীরের সব অঙ্গে রক্ত পৌঁছায়। ঠান্ডা জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা জল ত্বকের ছিদ্র বন্ধ রাখে, এতে ত্বক টানটান ও চকচকে হয়।

ঠান্ডা জল ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও উপকারী। এটি চুল নরম ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডা জল শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়, যা ব্যক্তির মেজাজ খারাপ হতে বাধা দেয়, যার কারণে জীবন থেকে মানসিক চাপ অনেকাংশে দূর হয়। ঠান্ডা জল পেশীর ফোলাভাবও কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস আছে তাদের ঠান্ডা জলে গোসল করা এড়িয়ে চলা উচিত বা ঠান্ডা জলে গোসল করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।