নতুন দিল্লি, ১৬ অক্টোবর: চিনে বাজারের তেরঙ্গা পতাকা নিষিদ্ধ, হ্যাঁ এবার চায়না পণ্যর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রথম ধাপে এগিয়ে গেল নয়াদিল্লি। এবার থেকে চিন-সহ অন্যান্য দেশ থেকে আর তেরঙ্গা পতাকা আমদানি করা যাবে না। দেশের খাদি শিল্পের তৈরি তেরঙ্গা পতাকাই (national flag) বিকোবে ভারতের বাজারে। বিদেশিরা ভারতীয় জাতীয় পতাকার নীতি মেনে চলে না, তাই বিদেশ থেকে তেরঙ্গা পতাকা আমদানি নিষিদ্ধের জন্য গত ১১ অক্টোবর একটি নোটিস জারি হল। এই কারণে এবার হয়তো গ্রামীণ কুটির শিল্প খাদির তৈরি তেরঙ্গা পতাকার বাজার তৈরি হবে। এমনটাই আশা করছে সরকার।
উল্লেখ্য, জাতীয় পতাকা তৈরির নির্দেশাবলীতে বলা আছে, শুধুমাত্র হাতে বোনা উল, সূতি ও সিল্কে খাদির কাপড়েই তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করা যাবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনও উপাদান ব্যবহৃত হতে পারে না। দেশের বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল ও স্কুলের বাইরে যে তেরঙ্গা পতাকাগুলি বিক্রি হয় সেগুলি সাধারণত প্লাস্টিকের তৈরি এগুলি সীমান্ত পেরিয়ে দেশের বাজারে চলে আসে। এই প্লাস্টিকের পতাকার প্রতিপত্তিতে প্রায় দুয়োরানি অবস্থা হয়েছে খাদিশিল্পের। ২০১৭-১৮-তে খাদির তৈরি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছে ৩.৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৮-১৯-এ সেই বিক্রির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। এবছর দু কোটির লক্ষ্যমাত্রাও ছুঁতে পারেনি। এরপরেই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের (Commerce and Industry Minister Piyush Goyal) কাছে রীতিমতো আর্জি জানানো হয়, যাতে চিন-সহ বিদেশ থেকে জাতীয় পতাকার আমদানি বন্ধ করা যায়। এই প্রসঙ্গে খাদি গ্রাম উদ্যোগ ভবনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা (Vinai Kumar Saxena) রীতিমতো তর্কও করেছেন। তাঁর বক্তব্য দেশের পতাকা কিনা আমদানি হচ্ছে চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে। তেরঙ্গা পতাকা তৈরির যে নির্দেশিকা রয়েছে তা মানা হচ্ছে না। একই সহ্গে যাঁরা এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে পতাকা তৈরি করছেন তাঁদের বিক্রিবাট্টাও হচ্ছে না। আরও পড়ুন-Kartarpur Corridor:গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম বার্ষিকীতে পাকিস্তানের করতারপুর সাহিবে যেতে পারমিটের আবেদন করুন, কীভাবে করবেন ?
এরপরেই কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে খাদি গ্রাম উদ্যোগ ভবনের (KVIC) তরফে অনুরোধ করা হয় যেন বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের জাতীয় পতাকার আমদানি বন্ধ নয় একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। সেই সঙ্গে খাদির তৈরি পতাকার এক চেটিয়া বাজার তৈরি হোক।