
নতুন দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আগের দিনিই দেশের ছাত্র সমাজকে শিক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Army Chief General Bipin Rawat)। শেষপর্যন্ত ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে ফের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হলেন তিনি এদিন রাজধানীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভারতীয় সেনা বাহিনী চূড়ান্তভাবে নিরপেক্ষ। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনকে মান্যতা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভদ্রতা, সৌজন্যতা ও মানবিকতার নীতি নিয়েই সীমান্তে দেশরক্ষার কাজে নিযুক্ত থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আইন মানার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ ভারতের সেনাবাহিনী।
গত এক মাস ধরে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভের আবহে আজ দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে নেতৃত্বের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন রাওয়ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখছি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বহু মানুষের ভিড়কে নেতৃত্ব দিয়ে শহরে অগ্নিসংযোগ ও হিংসা ছড়াচ্ছেন। এটা কখনওই নেতৃত্ব হতে পারে না। যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে, তারা কখনওই নেতা নয়।’’ এর পরেই নেতার সংজ্ঞা দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘এক জন নেতা হলেন তিনি, যিনি আপনাকে ঠিক অভিমুখে চালনা করবেন, আপনাকে ঠিক পরামর্শ দেবেন এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।’’ আরও পড়ুন-Ceasefire Violation In Jammu And Kashmir: ফের সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন, ভারতীয় সেনার জবাবে নিকেশ ৩-৪ জন পাক সেনা
প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সেনার হস্তক্ষেপের নজির রয়েছে ভূরি ভূরি। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি সেই পথেই এগোবে নরেন্দ্র মোদীর ভারত? আগামী ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রাওয়ত। সদ্য তৈরি হওয়া তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ পদের জন্য তাঁর নাম ভাবা হচ্ছে। ওই পদের দৌড়ে রয়েছেন নর্দার্ন আর্মি কম্যান্ডার রণবীর সিংহও। বিরোধীদের বক্তব্য, এমন এক সময়ে কেন্দ্রকে ইতিবাচক বার্তা দিতেই কি গণআন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেনাপ্রধান?