এই সেই থানা (Photo Credit: ANI)

গোয়ালিয়র, ২১ নভেম্বর: কথায় বলে না দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না। তেমনই ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। সেখানকার চম্বল এলাকার একদল দুষ্কৃতী টাকা কামানোর নতুন রাস্তা তৈরি করে ফেলল। নকল থানা তৈরি করে সেখানেই পুলিশ সেজে বসল। একটাই কাজ উর্দির ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে তোলা আদায়। একেবারে পুলিশ কর্তা সেজে মাঝে মাঝে ভাল কাজও করত এই দুষ্কৃতীর দল। গ্রামের মানুষ কোনও অপরাধী পাকড়াও করে আনলে তাকে সাজা দিয়ে জনমানসে একটা প্রতিশ্রুতিমান ইমেজ খাড়া করে ফেলেছিল এই দলটি। বেশ কাটছিল দিন, টাকা পয়সাও নেহাত মন্দ আসছিল না। তবে আচমকাই গোয়ালিয়রের (Gwalior) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরেজমিনে তদন্তে আসতেই সব শেষ।

এএসপি ক্রাইম পঙ্কজ পাণ্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। তাদের কারা নিয়োগ করেছিল। নিয়োগকর্তারা পুলিশের লোক কি না তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। এরা হল সুরেশ, রিঙ্কেশ, শিভম ও কামালা। তদন্ত চলছে, তাই এখনই এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না। আরও পড়ুন-Hema Malini on Monkey Menace in Mathura: মানুষ হনুমানের স্বভাব নষ্ট করেছে তাই তো তারা ফল ছেড়ে এখন ফ্রুটি সিঙ্গারার দিকে দৌড়চ্ছে, কী বললেন হেমা মালিনী?

জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে অন্তর্তদন্ত চলছিল। কে বা কারা গোয়ালিয়রের চম্বল এলাকায় থানা তৈরি করে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছে  তা জানতে সমস্তরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। আচমকা পঙ্কজ পাণ্ডে থানা পরিদর্শনে আসতেই দুষ্কৃতীরা প্রমাদ গুনল। পুলিশের বড় কর্তার সামনে কোনও নাটকই মাথায় এল না। একেবারে চারজনে সেলাম ঠুকে বসল। তিনি পাল্টা তাদের পরিচয় জানতে চাইতেই প্রথম দুজন নিজেদের মজুর বলে পরিচয় দিল, একজন নিজেকে ভেন্ডার বলল, অন্যজন বলল চিত্রকর। গোটা ঘটনা দেখে একেবারে হতবাক স্থানীয়রা, তারা যে এতদিন পুলিশ সেজে থাকা দুষ্কৃতীদের ভয়ে কাঁটা হয়েছিল, এর থেকে আর লজ্জাজনক কীইবা হতে পারে।