হেমা মালিনী (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২১ নভেম্বর: হনুমান ধীরে ধীরে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। তাছাড়া হনুমান সিঙ্গারা আর ফ্রুটি খেতে ভালবাসে, তাই জঙ্গলে ফলের গাছ রোপণ করাটা খুব জরুরি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও মথুরা-বৃন্দাবনের বিজেপি সাংসদ হেমামালিনী (BJP MP Hema Malini) সাংবাদিকদের সঙ্গে বার্তালাপের সময় এমন তথ্যই দিলেন। তাহলে মানুষের জন্য নয় হনুমানের জন্য বৃক্ষ রোপণে জোর দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন হেমা। আসলে মথুরা বৃন্দাবনে তো হনুমানের দৌড়াত্ম ভয়ানক, মানুষ এি প্রামঈটির হাত থেকে বাঁচতে একেবারে তটস্থ হয়ে থাকে।

এদিন এই প্রসঙ্গেই সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, “জঙ্গলে অবশ্যই ফলের গাছ থাকা উচিত। হনুমানরা লোকালয়ে থাকতে থাকতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে নিজেদের অভ্যস্ত করে তুলেছে। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। তারা এখন ফল খেতে চায় না, তবে সিঙ্গারা আর ফ্রুটি পেলে আহ্লাদে আটখানা হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় হনুমান সাফারির আয়োজন খুব জরুরি যাতে তারা লোকালয়ে ঢুকে আর মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলতে না পারে। আসলে হনুমানরা যাবেই বা কোথায়, সমস্যা হল দর্শণার্থীদের নিয়ে। তাঁরাই হনুমানকে সিঙ্গারা ফ্রুটি খেতে দিচ্ছে। এদের এসব না দিয়ে ফল দিন।” আরও পড়ুন-Jharkhand Assembly Elections 2019: ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে কাশ্মীরের ৩৭০ ও অযোধ্যার রায়, দুই তাসকেই বাজি ধরে সেফ খেললেন অমিত শাহ

উল্লেখ্য, মথুরা এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে পুণ্যার্থী সবাই হনুমানের উৎপাতে অতিষ্ঠ। এমনিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি ও লীলাভূমি হিসেবে মথুরা বৃন্দাবনের খ্যাতি রয়েছে। সেখানে বছরভর পুণ্যার্থী সমাগম লেগেই থাকে। সেখানে পুণ্যার্থীরা হনুমানকে সিঙ্গারা আর ফ্রুটি খাইয়ে তাদের স্বভাব নষ্ট করে দিয়েছে। তাইতো ফ্রুটির লোভে এখন পুণ্যার্থীদের ব্যাগপত্র ছিনতাই করছে হনুমানের দল। বারসানা, গোকুল ও গোবর্ধন এলাকা একেবারে মন্দির লাগোয়া। এসব জায়গাতেই হনুমাতের উৎপাত সবথেকে বেশি। বেশ কয়েক বছর আগে একবার বাঁকে বিহারির মন্দির দর্শনে মথুরা বৃন্দাবনে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেইসময় হনুমানের উৎপাত এড়াতে গাড়ির কাচের মধ্যে দিয়েই দেবদর্শন করতে হয়েছিল তাঁকে। একবার মন্দির পরিদর্শনের সময় মথুরার জেলাশাসকের চশমা কেড়ে পালিয়ে যায় একটা হনুমান।