নির্মলা সীতারমণ(Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৪ মে: প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের বিশদ বর্ণনা দিতে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে ফের সাংবাদিক সম্মেলন করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Finance Minister Nirmala Sitharaman)। দুদিনের শিডিউলে তৈরি হয়েছে সীতারমণের এই বার্তালাপ। আজ বিকেল চারটেতেই আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে আলোচনায় আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বুধবার সীতারমণের সাংবাদিক সম্মেলন জুড়ে ছিল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের আর্থিক পুনরুজ্জীবন সংক্রান্ত বিশদ প্যাকেজর বর্ণনা। কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই এই ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীরা তিন লক্ষ কোটির ঋণ পাবেন। আগামী তিন মাস বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা হাতে বেশি বেতন পাবেন। কমতে পারে পিএফ-এর জমানো টাকার পরিমাণ। এই মর্মে টিডিএস ও টিসিএস ২৫ শতাংশ কমানো হতে পারে।

বুধবার সীতারমণ বলেন, আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। সমাজের সর্ব স্তরের বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যার শুরুতে একথাই বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “গরিবদের জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্ব ব্র্যান্ড করাই কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা। ৪০ দিনে দেশে পিপিই, মাস্ক ও ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঋণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। আরও পড়ুন-Eid Prayers On Lockdown: লকডাউনে ইদগাহে কি নামাজ পড়ার অনুমতি পাবে মুসলিমরা? মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার

তিনি আরও জানান, বিনিয়োগ এক কোটি এবং টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকা হলেও এখন থেকে সেই সংস্থাকে মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ধরা হবে। মাইক্রোর ক্ষেত্রে আগে ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ ছিল, এখন সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে এক কোটি টাকা। এখন বিনিয়োগ করা মূলধনের পরিমাণের সঙ্গে বাৎসরিক টার্নওভার যোগ করা হয়েছে। এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হয়েছে যা অপেক্ষাকৃত সক্ষম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য দেওয়া হবে। ২০ হাজার কোটি নগদ সাহায্য করা হবে দুর্বল ও ঋণগ্রস্ত সংস্থার জন্য চার বছরের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে, তার মধ্যে প্রথম ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর ঋণ পরিশোধ করতে হবে না। তার জন্য কোনও গ্যারান্টি লাগবে না।  ঋণের উপর এক বছরের মোরেটরিয়াম দেওয়া হবে। ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। মোট ১৫টি পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬টি পদক্ষেপ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের জন্য। করদাতাদের কর দেওয়ার পদ্ধতি অনেক সরল করা হয়েছে।