নতুন দিল্লি, ১৩ মে: MSME-র সংজ্ঞা বদল করল কেন্দ্রীয় সরকার। আজকের সাংবাদিক বৈঠকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, "এই আর্থিক প্যাকেজে দেশের ক্ষুদ্র ও ছোটো শিল্পের (Micro, Small and Medium Enterprises) জন্য নানা পদক্ষেপ করা হবে। এক্ষেত্রে ৩ লাখ কোটির ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে । চার বছরের মেয়াদ হবে এই ঋণের। ১২ মাস পর্যন্ত মূলধন পরিশোধ করতে হবে না। কোনও বন্ধক ছাড়াই এই ঋণ দেওয়া হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই প্য়াকেজ থেকে ৪৫ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হবে।"

আজ MSME অর্থাৎ ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের জন্য মোট ছ'টি ঘোষণা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা, অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত MSME -কে 20 হাজার কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হবে। যার ফলে উপকৃত হবে প্রায় ২ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্টের মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার।"অর্থমন্ত্রী বলেন, "অনেক ছোটো ও ক্ষুদ্র শিল্পের ভালো করার বা বিকাশের সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুবিধা নেই, তাদের জন্য বাড়তি ৫০ হাজার কোটির সাহায্য দেওয়া হবে।" আরও পড়ুন: PF, EPF Contribution Reduced: আগামী ৩ মাস পিএফ, ইপিএফ-এ কর্মচারী ও চাকরিদাতার কন্ট্রিবিউশন ১২% থেকে কমে হচ্ছে ১০%

এছাড়া তিনি MSME-র সংজ্ঞা বদলানোর ঘোষণা করেন। নির্মলা সীতারমন, "অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কিছু ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগপতি আশঙ্কায় রয়েছেন। ভাবছেন, যদি তাঁদের ব্যবসা বেড়ে যায়, তাহলে ছোটো ও ছোটো ও মাঝারি জন্য থাকা সুবিধা পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে MSME-কে নতুন সংজ্ঞা দান করা হচ্ছে। বছরে ১ কোটির বিনিয়োগ এবং ৫ কোটির টার্নওভার হলেই, তাকে মাইক্রো (Micro business) বা ক্ষুদ্র ইউনিট হিসেবে ধরা হবে। বছরে ১০ কোটির বিনিয়োগ এবং ৫০ কোটির টার্নওভার হলেই, তাকে ছোটো শিল্প (Small business) বলা হবে। আর শেষে বছরে ২০ কোটির বিনিয়োগ এবং ১০০ কোটির টার্নওভার হলেই, তাকে মাঝারি শিল্প (Medium business) বলা হবে।"

এছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে ২০০ কোটির কম বরাতে আর গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হবে না। স্থানীয় তথা দেশীয় শিল্পসংস্থাগুলিকে সরকারের টেন্ডার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া CPSE ও সরকার ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পগুলির সমস্ত পাওনা টাকা মিটিয়ে দেবে। এনপিএ-র আওতায় থাকা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকেও ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। ঋণগ্রস্ত শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি। উপকৃত হবে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প।