বেঙ্গালুরু, ১৪ মে: এবছর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের খুশির ইদ আগামী ২৪ অথবা ২৫ মে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মহামারী করোনাকে রুখতে দেশজুড়ে চলছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে রমজান মাসের নামাজও মসজিদে হচ্ছে না। সংক্রমণ এড়াতে জুম্মার নামাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের মুসলিমরা আদৌ ইদগাহ বা এলাকার মসজিদে ইদের নামাজ পড়তে যেতে পারবেন কি না তানিয়ে মুখ্যন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে (CM BS Yediyurapaa) সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন জানালেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা সিএণ ইব্রাহিম। বর্তমানের লকডাউন সংক্রান্ত গাইড লাইন মানলে যদি সরকার অনুমতি দেয় তাহলেই ইদগাহে নামাজের আয়োজন হতে পারে, নচেৎ নয়। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই বলেছেন ইব্রাহিম।
তিনি আরও বলেন, যদি ইদগাহে নামাজের অনুমতিও মেলে তবে যাবতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশাবলী মেনেই তার আয়োজন হবে। প্রত্যেককে নিয়ম মানতে হবে। ইদের দিন বেলা একটা বাজার আগে এলাকার মসজিদ বা ইদগাহে হয়তো নামাজের আয়োজন হতে পারে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে চিঠিও লিখেছেন ইব্রাহিম, “বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যের মুসলিমরা নিজ এলাকার মসজিদ বা ইদগাহে ইদের নামাজ পড়তে পারবেন কি না তানিয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিন।” আরও পড়ুন COVID-19 Cases In India: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়ালো, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ৩ হাজার ৭২২ জন
Former Union Minister & Congress Karnataka MLC, C M Ibrahim has written to Chief Minister BS Yediyurappa. Letter states, "After consulting medical experts, take a suitable decision enabling Muslims all over the state to offer Idd prayers at Idgah Maidan or Masjids....". pic.twitter.com/Fcaxdv79ek
— ANI (@ANI) May 14, 2020
করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এর জেরে সমস্ত প্রার্থনাগৃহ, মন্দির মসজিদ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। লকডাউন জারির পর মসজিদে জমাতে নামাজ পড়াও বন্ধ হয়ে যায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় রমজান মাসেও শিথিল হয়নি লকডাউন। দেশের মধ্যে কম সংক্রামিত রাজ্যের তালিকায় রয়েছে কর্ণাটক। সেখানে মোট করোনা আক্রান্ত ৯২৫ জন। যার মধ্যে আবার ৪৩৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৭৪ হাজার ২৮১, মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪১৫।