FM Nirmala Sitharaman: শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রের নয়া আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় দফার ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
নির্মলা সীতারমণ File Image | (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৫ মে: আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) শুক্রবার বিকেল চারটেয় সেই প্যাকেজের তৃতীয় পর্বের ব্যাখ্যা করবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজের দ্বিতীয় পর্বের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। সীতারমণের ঘোষণার মধ্যে অন্যতম হল শহুরে গরিব ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ২ মাসের খাদ্যশষ্য বিনামূল্যে বিতরণ হবে। যাদের রেশন কার্ড নেই তাঁরাও বিনামূল্যেই পাবেন খাদ্যশষ্য। আগামী দিনে একই কার্ডে দেশের যে কোনও প্রান্তে রেশন তোলার সুবিধার কথা এ দিন বলা হল। ঘোষণায় রইল বড় শহরে বাড়ি তৈরি করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের তা সস্তায় ভাড়া দেওয়ার প্রকল্প। কিন্তু সে সবই তো ভবিষ্যতের গর্ভে।

আগস্টের মধ্যেই ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্পের আওতায় আসবে ৬৭ কোটি পরিবার। ৩১ মার্চের মধ্যে সকলে। তখন ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েও নিজের ও পরিবারের রেশন সেখানে তুলতে অসুবিধা হবে না পরিযায়ী শ্রমিকদের। আগামী দিনে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে বড় শহরগুলিতে তৈরি হবে বাড়ি। যা সস্তায় ভাড়া নেওয়ার সুবিধা পাবেন ভিন্ রাজ্যে কাজে আসা শ্রমিক কিংবা শহুরে গরিবেরা। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই কিংবা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে নাম নেই, তাঁরাও আগামী দু’মাস মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল অথবা গম এবং পরিবার পিছু ১ কেজি ডাল পাবেন। তাঁদের চিহ্নিত করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। আনুমানিক এমন ৮ কোটি কর্মীর জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র।  আরও পড়ুন-Yogi Adityanath: বিশেষ ট্রেনে চড়ে রাজ্যে ফিরতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও টাকা দিতে হবে না, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

বুধবার সীতারমণ বলেন, আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। সমাজের সর্ব স্তরের বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের ব্যাখ্যার শুরুতে একথাই বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “গরিবদের জন্য সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্ব ব্র্যান্ড করাই কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা। ৪০ দিনে দেশে পিপিই, মাস্ক ও ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঋণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা।