থমথমে কাশ্মীর(Photo Credit: Twitter)

নতুন দিল্লি, ৯ জানুয়ারি: অ্যামেরিকাসহ অন্য ১৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত (Envoy) আসলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রদূতরা জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সফরে আসছেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণে আজ জম্মু-কাশ্মীরে আসার কথা ছিল প্রতিনিধি দলটির। শেষ মুহূর্তে দু'দিনের এই সফরে না-আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত। সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও “গাইডেড সফর” চান না ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রদূতরা। নিজেদের ইচ্ছেমতো লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে চান রাষ্ট্রদূতরা। তবে জম্মু ও কাশ্মীর সফরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা, তবে তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, এটা খুবই কম সময়ের ব্যবধানে এবং পরের কোনও দিনে সফর করতে চান তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি ভাগে বিভক্ত করার তিনমাস পর গত অক্টোবরে সেখানে যান ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাংসদরা। সেবারের সফরে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে বিস্তারিত তথ্য নেন। এবার যে দেশগুলি এই সফরে অংশ নেবে তারা হল অ্যামেরিকা, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, গায়ানা, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, নাইজার, আর্জেন্টিনা ফিলিপিন্স, নরওয়ে, মরক্কো, মালদ্বীপ, ফিজি, টোগো, বাংলাদেশ এবং পেরু। আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: শিয়রে চমকাচ্ছে এনআরসি-সিএএ, অসমে খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথের উদ্বোধন এড়ালেন প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রদূতদের প্রথমে শ্রীনগর এবং পরে জম্মুতে নিয়ে যাওয়া হবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জিসি মুর্মু এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন। এদিকে অস্ট্রেলিয়া ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের একাধিক দেশের প্রতিনিধি নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে সফর বাতিল করেছেন, তাঁরা এই সফরে থাকবেন বলে মনে করা