Chirag Paswan | (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২ অক্টোবর: হারের জনপ্রিয় নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর দল লোক জনশক্তি পার্টি (LJP)-তে মহাসঙ্কট। রামবিলাসের মৃত্যুর পর এলজিপি- কার তা নিয়েই জোর লড়াই তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan) ও তাঁর ভাই পশুপতি কুমার পরসের (Pashupati Kumar Paras)। চিরাগের তাঁর বাবার মৃত্যুর পর দলের প্রধান হতে চাইছেন, আবার পশুপতি কুমারের দাবি তিনি এই দল দাদা রামবিলাসের সঙ্গে বানিয়েছিলেন, তাই তিনিই এখন দলের প্রধান। পশুপতি শিবিরের পাঁচ সাংসদকে খারিজ করেছিলেন চিরাগ। পাল্টা  চিরাগকে দলের সভাপতি পদ থেকে অপরাসিত করেছেন পশুপতি।

দেখুন টুইট

কাকা-ভাইপোর এই দ্বন্দ্বে এলজিপি-র নির্বাচনী প্রতীক ফ্রিজ করে দিল কমিশন। কারণ চিরাগ-পশুপতি দুজনেই বিহারের আসন্ন উপনির্বাচনে আলাদা আলাদা প্রার্থী করিয়ে এলজিপি-র প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করতে চাইছেন। আরও পড়ুন: ভারতে টিকাকরণ ৯০ কোটির ল্যান্ডমার্ক পার করল, টুইট করে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর রামবিলাস পাসোয়েন এলজিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শুরুতে কংগ্রেস ও আরজেডি-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ত এলজিপি। তবে ২০১৪ লোকসভা থেকে এনডিএ-র শরিক দল হিসেবে কাজ করেছে এলজিপি।

গত বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এনডিএ ছেড়েছিল এলজেপি। তবে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। শেষে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর ঠিক পরেই হওয়া বিহার নির্বাচনে ভরাডুবি হয় এলজিপি-র। রাজ্যের ১৩৫টি আসনে লড়ে মাত্র একটা আসনে জেতে তারা। এরপরেই চিরাগের বিরদ্ধে  প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন পশুপতি কুমার পরশ।