Chirag Paswan | (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৫ অক্টোবর: রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর লোকজনশক্তি পার্টি (Lok Janashakti Party)-র ঘরোয়া বিবাদের ফলে দলের প্রতীক চিহ্ন (Election Symbol) বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন (Election Comission)। বিহারে আসন্ন উপনির্বাচনের আগে লোক জনশক্তি পার্টি-র দুই শীর্ষ নেতা- রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan) ও ভাই পশুপতি কুমার পরশের (Pashupati Kumar Paras) মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠার পর, দলের প্রতীক চিহ্ন কে ব্যবহার করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। চিরাগ ও পরশ দুইজনেই লোকজনশক্তি পার্টির প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। কমিশন এরপর ঠিক করে লোকজনশক্তি পার্টি তাদের চিরাচরিত বাংলো চিহ্নটি আর আসন্ন উপনির্বাচনে ব্যবহার করতে পারবে না।

এর আজ জানানো হল, চিরাগ পাসোয়ানকে লোকজনশক্তি (রাম বিলাস)পার্টি -এর প্রতীক চিহ্ন হেলিকপ্টার ও পশুপতি কুমার পরশকে 'রাষ্ট্রীয় জনশক্তি পার্টি'-র নাম দিয়ে সেলাই মেশিন চিহ্ন বরাদ্দ করাল নির্বাচন কমিশন। আরও পড়ুন: গান্ধীনগর পুরভোটে বড় জয়ের পথে বিজেপি, খাতা খুলল আপ

দেখুন টুইট

ক দিন আগেই কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, বিহারের কয়েকটি জায়গায় উপনির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে এলজেপির কোনও গোষ্ঠীকেই দলের নাম ও তাদের চিরাচরিত বাংলো চিহ্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর রামবিলাস পাসোয়েন এলজিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শুরুতে কংগ্রেস ও আরজেডি-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ত এলজিপি। তবে ২০১৪ লোকসভা থেকে এনডিএ-র শরিক দল হিসেবে কাজ করেছে এলজিপি।

গত বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এনডিএ ছেড়েছিল এলজেপি। তবে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। শেষে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর ঠিক পরেই হওয়া বিহার নির্বাচনে ভরাডুবি হয় এলজিপি-র। রাজ্যের ১৩৫টি আসনে লড়ে মাত্র একটা আসনে জেতে তারা। এরপরেই চিরাগের বিরদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন পরশ।