প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে ড্রোন তৈরির শক্তিশালী কেন্দ্রতে রূপান্তরিত করার জন্য দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মে মাসে আয়োজিত ভারত ড্রোন মহোৎসবে নিজে একটি ড্রোন উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিলেন এই ড্রোন দিয়েই ভারত বিশ্ব বাজারে একটি অন্যতম জায়গা তৈরি করে নেবে। তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চেন্নাইতে শুরু হয়েছে ড্রোন যাত্রা- ২.০। সেই সম্মেলন থেকেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বললেন - আগামী কয়েক বছরে ভারত হয়ে উঠবে ড্রোন প্রযুক্তির হাব, আর আগামী বছরের (২০২৩ সাল) মধ্যে দেশের কমপক্ষে ১ লক্ষ ড্রোন পাইলটের প্রয়োজন হবে।
চেন্নাইয়ের অগ্নি কলেজ অফ টেকনোলজির গরুড় অ্যারোস্পেস-এ প্রথম ড্রোন স্কিলিং অ্যান্ড ট্রেনিং কনফারেন্সের সূচনা এবং "ড্রোন যাত্রা 2.0" এর শুভ সূচনার পরে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠাকুর বলেন , "প্রযুক্তির কারণে দ্রুত গতিতে বিশ্ব রূপান্তরিত হচ্ছে, পৃথিবী নামক গ্রহের সমস্ত সমস্যার সমাধানে নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন চলে আসছে যা ইতিমধ্যেই প্রাসঙ্গিক। তিনি আরও বলেন যে প্রতিটি পাইলট প্রতি মাসে ৫০০০০ থেকে ৮০০০০ টাকার মধ্যে আয় করবে, যার ফলে শিল্প দ্বারা প্রদত্ত প্রায় ৬০০০ কোটি টাকার কর্মসংস্থান হবে।
India is emerging as a leading player in the drone tech space!
Launched the 1st Drone Skilling & Training Conference and flagged off the Drone Yatra at Garuda Aerospace, Agni College of Technology, Chennai. Also tried my hand at flying one! pic.twitter.com/rIhe95Bh7A
— Anurag Thakur (@ianuragthakur) December 6, 2022
আগামী দুই বছরে এক লক্ষ "মেড ইন ইন্ডিয়া" ড্রোন তৈরি করার জন্য গরুড় অ্যারোস্পেসের পরিকল্পনার প্রশংসাও করেন অনুরাগ ঠাকুর। গরুড়ের ড্রোন স্কিলিং অ্যান্ড ট্রেনিং কনফারেন্স যা সারাদেশে ৭৭৫ টি জেলায় পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে , এই ট্রেনিং এর মাধ্যমেই তা ১০ লক্ষ যুবকদের কাছে পৌঁছাবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন দেশে২০০ টিরও বেশি ড্রোন স্টার্টআপ চালু রয়েছে , এছাড়া তরুণদের জন্য লক্ষাধিক নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করার জন্য আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।