ধারাভি (Photo Credits: Wikimedia Commons)

ধারাভি, ৩ এপ্রিল: মু্ম্বইয়ের ধারাভি (Dharavi) বস্তিতে তৃতীয় সংক্রামিতর সন্ধান মিলল। আক্রান্ত বছর ৩৫-এর চিকিৎসক। এশিয়া সর্ব বৃহৎ ধারাভি বস্তিতে রাস্তা লাগোয়া একটি ক্লিনিকে বসতেন এই চিকিৎসক। তিনি বেসরকারি হাসপাতালের একজন সার্জেনও। চিকিৎসকের শরীরে মারণ রোগের জীবাণু মিলতেই তাঁর সংস্পর্শে আসা বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। আক্রান্তের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পুরসভার তরফে চিকিৎসকের বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, আক্রান্ত চিকিৎসক কখনও বিদেশে যাননি।

১ এপ্রিল ধারাভি বস্তির রিহাব্য বিল্ডিংয়ে বসবাস কারী বছর ৬৫-র এক প্রৌঢ়র শরীরে প্রথম কোভিড-১৯ এর জীবাণু মেলে। তিনিই ধারাভি এলাকার প্রথম করোনা আক্রান্ত। ওই দিন সন্ধ্যাতেই আক্রান্তর মৃত্যু হয়। কর্পোরেশনের এক সুইপারের শরীরেও করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। যেসব এলাকার বাসিন্দাদের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ মিলেছে সেসব এলাকায় কড়া পদক্ষেপ করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।  বর্তমানে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬৯। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছেন ১৮৬০ জন আক্রান্ত। ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫১ জন। আরও পড়ুন-Coronavirus cases top 1 million: করোনায় মৃত্যু মিছিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল, বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ১০ লক্ষ

মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় (Coronavirus cases) গোটা বিশ্ব। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। এবার সেই মিছিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ। আশার কথা একটাই, এত কিছুর মধ্যেও এই মারণরোগ থেকে বেঁচে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দু’লক্ষের কিছু বেশি মানুষ। কিন্তু এই সংখ্যাটা যেন ভাইরাসের মারণ তাণ্ডবের কাছে নেহাতই ছোট। কেবল গত ২৪ ঘণ্টাতেই আরও প্রায় ৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে বেড়েছে ২০ হাজারের বেশি। মোট ২ লক্ষ ২৬ হাজার জন ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। বেশিরভাগ দেশে মৃতদেহ সৎকারের পদ্ধতিটাই উল্টে গেছে। সার দিয়ে জমছে দেহ।