
নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: জেএনইউ (JNU) হামলায় গুরুতর আহত হয় অন্তত ৫০ পড়ুয়া। গলগল করে রক্তক্ষরন হতে থাকে। কারও হাত ভেঙে তো কারও মাথা ফাটে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পর গতকাল পুলিশ ছিল নীরব। অবশেষে হামলার ১৭ ঘণ্টা (17 Hours) পর এফআইআর (FIR) দায়ের করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। জেএনইউ হামলার দিল্লি পুলিশের ক্রাইমব্রাঞ্চের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত দেখেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ পৌঁছানোর আগেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব দাবি জেএনইউ কর্তৃপক্ষের। দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব যেহেতু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে, তাই ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশের বড় কর্তা নিয়োগ করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। গতকাল রাতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেই জানা গেছে।
রবিবার রাতে জেএনইউ-র ক্যাম্পাসে বেলাগাম তাণ্ডব। ঘটনার জন্য নাম না করে বাম ছাত্রছাত্রীদের দিকেই আঙুল তোলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে থাকা পড়ুয়ারাই ছিল হামলার পিছনে। গতকালের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ এসেছে বলে জানায় দিল্লি পুলিশ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে বলে জানায় পুলিশ। আহত ছাত্রছাত্রীদের দাবি এবিভিপি এই হামলা চালায়। কিন্তু এবিভিপি হামলা অস্বীকার করেছে। আরও পড়ুন, জেএনইউ-র পাশে দেশ বিদেশের ছাত্রছাত্রীরা, মধ্যরাতে পথে নেমে প্রতিবাদ যাদবপুর, পুনে, আলিগড়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের
গতকাল মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ৫০ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তাদের হাতে ছিল ব্যাট, লাঠি। আন্দোলনকারীদের সভা চলাকালীন ওই দুষ্কৃতী দল ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায়। পড়ুয়াদের মারধরের পাশাপাশি হস্টেলের ভিতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়। ধারালো কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় এসএফআইয়ের সভাপতি ঐশী ঘোষের মাথায়। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ঘটনার নিন্দায় ফেটে পড়ে দেশবাসী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছেন করা এইদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত সুস্থ আছেন কমরেড ঐশী ঘোষ।