নয়াদিল্লি, ১২ মে: লকডাউনের (Lockdown in India) পর রাজ্য কীভাবে চলবে, তা ঠিক করবে দিল্লির আমজনতা। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কীভাবে সংক্রমণের মোকাবিলা করবে রাজ্য, তা ঠিক করবে ‘জনতার রায়’। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে 8800007722 নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে কিংবা delhicm.suggestions@gmail.com-এ মেল করে সাধরণ মানুষ নিজেদের রায় জানাতে পারেন। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।
লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো উচিত কিনা সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কীভাবে রাজ্য সংক্রমণের মোকাবিলা করবে সেই নিয়ে ১৫ মে-র মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে একটি ব্লু প্রিন্ট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ব্লু প্রিন্ট তৈরিতেই সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আরও পড়ুন:Air India Headquarters Sealed: কর্মচারীর শরীরে করোনা সংক্রমণ, বন্ধ হল এয়ার ইন্ডিয়ার হেডকোয়ার্টারস
কেজরিওয়ালের কথায়, তৃতীয় লকডাউনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১৭ মে। এরপর কীভাবে সংক্রমণ এড়িয়ে লকডাউন শিথীল সম্ভব। সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন এই বিষয়টি নিয়ে। জনতার মতামতের উপর গুরুত্ব দিয়েই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে বলে আভাস দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারণ লকডাউন একেবারে পুরোপুরি তুলে নেওয়া অসম্ভব বলে জানান কেজরিওয়াল।
17 मई के बाद क्या दिल्ली में लॉकडाउन में ढील देनी चाहिए? कितनी ढील देनी चाहिए? कृपया अपने सुझाव 8800007722 पर मुझे कल शाम 5 बजे तक whatsapp करें, या 1031 पर फ़ोन कर के अपना सुझाव रिकॉर्ड करें https://t.co/VfFEyoux6b
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 12, 2020
মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন আমজনতার কাছে। সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই মানুষ তাদের রায় জানাবেন। প্রশ্নগুলি হল, “ছাড় দেওয়া কী আদৌ প্রয়োজন? কী কী সেক্টরে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন? বাস এবং মেট্রো পরিষেবা চালু করা উচিত? স্কুল, মার্কেট, কলকারখানা?” করোনার জেরে অভুক্ত কিছু মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন দিল্লির মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে যুক্ত এক মহিলা। গত ৪ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই মহিলার পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি টাকা তুলে দেবে কেজরিওয়াল সরকার।