COVID-19 Vaccine FAQs: স্বল্প সময়ে তৈরি কোভিড-১৯ প্রতিষেধক কী আদৌ নিরাপদ? আপনার সব প্রশ্নের উত্তর একনজরে
Vaccine (Photo Credits: Sputnik V website)

করোনা তাড়াতে প্রতিষেধকের যাত্রাপর্ব শুরু হতে চলেছে ভারতে। নতুন বছরের শুরুতেই দুই করোনা টিকাকে আগেই অনুমোদন দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে করোনার ভ্যাক্সিন (COVID-19 Vaccine) দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে এই প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ এবং কার্যকরী? এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একনজরে।

প্রশ্ন: কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন সকল দেশবাসীকে কী একসঙ্গেই দেওয়া হবে?

উত্তর: কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কাদের সবচেয়ে বেশি? সেই অনুযায়ী কেন্দ্র তৈরি করেছে কয়েকটি গ্রুপ

> প্রথম গ্রুপ তথা দলে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক-সহ কোভিডের বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন যারা

> দ্বিতীয় গ্রুপটি তৈরি হয়েছে পঞ্চাশোর্ধ এবং কোমর্বিটিতে আক্রান্তদের নিয়ে

> এরপর ধাপে ধাপে বাকিদের দেওয়া হবে, প্রত্যেকের প্রয়োজন বুঝে

প্রশ্ন: এত স্বল্প সময়ে তৈরি এই ভ্যক্সিন কী আদৌ নিরাপদ?

উত্তর: স্বাস্থ্য-সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই টিকাকরণ চালু হবে দেশে

প্রশ্ন: প্রতিষেধক নেওয়া কী বাধ্যতামূলক?

উত্তর: বাধ্যতামূলক ঠিক নয়। তবে নিজেকে এবং আপনার চারপাশের সকলকে সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

প্রশ্ন: কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন যারা, তাদের প্রতিষেধক নেওয়া কী জরুরি?

উত্তর: বাধ্যতামূলক নয়, তবে জরুরি নিশ্চয়ই। আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে প্রতিষেধকটি

প্রশ্ন: করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিষেধক প্রয়োগ কীভাবে সম্ভব?

উত্তর: সংক্রমণের মধ্যে টিকাকরণ নয়। কোভিড আক্রমণের ১৪ দিন পর রিপোর্ট নেগেটিভ এবং শরীরে কোনও লক্ষ্মণ না থাকলে তবেই টিকা নেওয়া উচিত এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা কম হবে

প্রশ্ন: একাধিক টিকার মধ্যে বাছাই করে ছাড়পত্র কীভাবে দেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই জরুরিভিত্তিতে টিকাকরণে সায় দিচ্ছে জিসিজিআই

টিকাকরণ প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট একটি ভ্যাক্সিনেরই দু'টি ডোজে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা সেটিও নজরে রাখতে হবে

প্রশ্ন: ২ডিগ্রি থেকে ৮ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে কোভিড প্রতিষেধক সংরক্ষণ এবং ট্রান্সপোর্ট করা সম্ভব ভারতে?

উত্তর: বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে ২৬ মিলিয়ন সদ্যোজাত শিশু এবং ২৯ মিলিয়ন গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ প্রয়োজন

এরজন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি রয়েছে ভারতের কাছে

প্রশ্ন: ছাড়পত্রের সঙ্গে সঙ্গে কী শুরু হয়ে যাবে প্রতিষেধক প্রয়োগের প্রক্রিয়া?

উত্তর: কার্যকারিতা এবং নিরাপদের বিষয়টিতে পাশ হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া

প্রশ্ন: আমি কী টিকাকরণের যোগ্য? জানব কীভাবে?

উত্তর: অনলাইনে নাম নথিভুক্তকরণের পর আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে টিকাকরণ নিয়ে সময়-সহ সমস্ত তথ্য দিয়ে দেওয়া হবে

প্রশ্ন: নাম নথিভুক্তকরণের জন্য কী কী তথ্যাদি প্রয়োজন?

উত্তর: ছবি-সহ যেকোনও পরিচয়পত্রই নাম নথিভুক্তকরণের জন্য যথাযোগ্য:

> আধার/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ ভোটাই আইডি/ প্যান কার্ড/ পাসপোর্ট/ অফিসিয়াল আইডি কার্ড/ পেনশনের তথ্যাদি

> শ্রমমন্ত্রকের অধীনে স্বাস্থ্যবিমা স্মার্ট কার্ডের সূচনা

> মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (MGNREGA)

> সাংসদ বা বিধায়কের দেওয়া পরিচয়পত্র

> ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস প্রদত্ত পাসবই

> কেন্দ্র/ রাজ্য সরকার/ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির তরফে প্রদত্ত সার্ভিস আইডি কার্ড

প্রশ্ন: রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনও ব্যক্তি কী কোভিড প্রতিষেধক পেতে পারেন?

উত্তর: কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের জন্য নাম নথিভুক্তকরণ অবশ্য প্রয়োজন। নাম রেজিস্টারের পর টিকাকরণের জন্য নির্দিষ্ট স্থান এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে

প্রশ্ন: সেশন সাইটে যদি কোনও ব্যক্তি সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে না পারেন, তাহলে তিনি কী টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হবেন?

উত্তর: রেজিস্ট্রেশন এবং ভেরিফিকেশনের সময় সচিত্র পরিচয়পত্র দেখানো আবশ্যিক

প্রশ্ন: টিকাকরণের তারিখ কবে, কীভাবে জানবেন আপনি?

উত্তর: অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পরই আপনি আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে তারিখ, জায়গা এবং সময়-সহ সমস্ত তথ্যের এসএমএস পাবেন

প্রশ্ন: প্রতিষেধক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কী গ্রাহকের কাছে এসে পৌঁছবে?

উত্তর: কোভিড টিকাকরণের দু'টি ডোজ সম্পন্ন হলে আপনা আপনার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস পাবেন, এছাড়াও কিউআর কোড-সহ একটি শংসাপত্র পাবেন

প্রশ্ন: টিকাকরণ কেন্দ্রে কোনও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

উত্তর:

> কোভিড-১৯ প্রতিষেধক প্রয়োগের পর অন্তত ৩০ মিনিট আপনাকে নির্দিষ্ট টিকাকরণ কেন্দ্রেই বিশ্রাম নিতে হবে

> যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে স্থানীয় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে/ এএনএম/ আশাতে খবর দিতে হবে

> টিকাকরণের পরও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব-সহ সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে

প্রশ্ন: কোভিড-১৯ টিকাকরণের পর কী কোনও সাইড-এফেক্ট হতে পারে?

উত্তর:

> নিরাপদের বিষয়টি সঠিকভাবে যাচাই করেই বাজারে আসছে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক

> হালকা জ্বর এবং সাময়িক গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হওয়া ছাড়া আর কোনও লক্ষ্মণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই

> টিকাকরণের পর যদি কোনও ব্যক্তির কোনও সমস্যা হয় তাহলে সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকবে বিষয়টি

প্রশ্ন:ডায়বেটিস, ক্যান্সার এবং হাইপারটেনসনে আক্রান্ত ব্যক্তি কী কোভিড-১৯ টিকা নিতে পারবেন?

উত্তর: হ্যাঁ। অবশ্যই পারবেন। এই ধরণের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাই-রিস্ক ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবেন

প্রশ্ন: কোভিড-যুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন যারা, তাঁদের পরিবার কী পাবেন প্রথম ধাপে এই প্রতিষেধক?

উত্তর: প্রাথমিক ধাপে প্রতিষেধকের পরিমাণ সীমিত থাকার জন্য কেন্দ্রের নির্ধারিত নির্দিষ্ট গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরাই এই টিকা পাবেন। প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাকিরা টিকা পাবেন

প্রশ্ন: কতদিনের ব্যবধানে এবং ক'টি ডোজ বাধ্যতামূলক?

উত্তর: ২৮ দিনের ব্যবধানে একটি টিকার দু'টি ডোজ নিতে হবে

প্রশ্ন: টিকাকরণের কতদিন পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে?

উত্তর: দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে