Online Classes (Photo Credits: PTI) .. Read more at: https://www.latestly.com/india/education/kollam-school-teacher-booked-for-posting-porn-video-during-online-case-1813049.html

২১ সেপ্টেম্বর, নয়াদিল্লি: ২০ সেপ্টেম্বর, রবিবার সারাদিনে দেশে নতুন করে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৬০ জন। সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছালো ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮০-তে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ১ হাজার ১৩০ জন। সবমিলিয়ে ভারতের করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ৮৭ হাজার ৮৮২ জন। করোনা আবহেই দীর্ঘ ৫ মাসের বিরতির পর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে চলেছে দেশজুড়ে। আনলক ৪-এ (Unlock 4.0) স্কুল খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র, তবে স্কুল খোলার বিষয়টি পুরোপুরি রাজ্যের উপর নির্ভর করবে। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকার জেরে এখনই স্কুল খোলার বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে অসম (Assam) এবং কর্ণাটক (Karnatak)-সহ বেশ কিছু রাজ্য স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকরে তরফে জারি আনলক ৪-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং নন-টিচিং স্টাফ-সহ স্কুল খোলা যেতে পারে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারাই স্কুলে আসতে পারবে কড়া নিয়ম নির্দেশিকা মেনে। স্কুলে আসার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কোনও সমস্যা নেই, এই সংক্রান্ত একটি ছাড়পত্র নিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে প্রবেশ আবশ্যিক। তবে যেসমস্ত পড়ুয়া এবং শিক্ষকেরা কন্টাইনমেন্ট জোনে রয়েছেন, তাদের স্কুলে প্রবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক কিংবা ফেস শিল্ড, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া কিংবা স্যানিটাইজ-সহ কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে সমস্ত নিয়ম বিধিনিষেধ মেনে চলা আবশ্যিক।

স্কুলে প্রবেশের সময় প্রতিটি পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার থার্মাল স্কিনিং বাধ্যতামূলক। প্রতিটি স্কুলে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসমে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খুললেও আগামী ১৫ দিন কেমন থাকছে পরিস্থিতি, তার উপর নির্ভর করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অসম সরকার। প্রয়োজনে পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কিন্তু আপাতত বন্ধই থাকবে স্কুল। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খুলছে হিমাচল প্রদেশে। ধাপে ধাপে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার, তবে এক্ষেত্রেও নবম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রয়োজনে আসতে পারেন স্কুলে। চণ্ডীগড়েও ২১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে স্কুল, তবে পুরোপুরি নয়।

ক্লাসরুমে কতজন পড়ুয়া থাকবে এবং কীভাবে ক্লাস নেওয়া হবে, তা নিয়ে একটি নীতি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। একটি ক্লাসরুমে ১৫ জন পড়ুয়ার বেশি বসতে পারবে না, ২ ঘণ্টার জন্য করে একটি করে ব্যাচের ক্লাস নেওয়া হবে এবং দু'টি ক্লাসের মাঝে ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখা হবে ক্লাসরুম স্যানিটাইজ করার জন্য। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লিতে বন্ধ থাকবে সমস্ত স্কুল। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই জানিয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।