সরকার মার্চ মাসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্যাশলেস ট্রিটমেন্ট' প্রকল্প আনতে চলেছে, একটি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের কথা জানান কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এই প্রকল্পের অধীনে, পথ দুর্ঘটনায় আহত যেকোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দেড় লাখ পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। এই স্কিমটি সারা দেশে প্রযোজ্য হবে এবং রাস্তায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার জন্য বৈধ হবে।
এই পরিকল্পনা কীভাবে কাজ করবে?
এই প্রকল্পটি জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (NHA), পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রকের ই-বিশদ দুর্ঘটনা প্রতিবেদন (EDAR) অ্যাপ্লিকেশনটি NHA-এর লেনদেন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এই আইটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করবে।
কারা লাভবান হবে?
এই স্কিমটি রাস্তায় সমস্ত ধরণের মোটর গাড়ি দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য প্রযোজ্য হবে৷ এতে ক্ষতিগ্রস্তরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং নগদ অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হবে না।
কীভাবে বাস্তবায়ন ঘটবে?
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি আইটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের ই-ডিটেইল্ড অ্যাকসিডেন্ট রিপোর্ট এবং ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (NHA)-এর লেনদেন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমকে সংযুক্ত করে এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হবে। এনএইচএ, পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা এই কর্মসূচি সফল করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সাফল্য অর্জিত হয়েছেঃ
গডকরি বলেছিলেন যে এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে চণ্ডীগড় থেকে শুরু হয়েছিল। এর পরে এটি আরও ছয়টি রাজ্যে লাগু করা হয়। পাইলট প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সময়মতো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা,যার ফলে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব।
চালকের ক্লান্তির কারণে সড়ক দুর্ঘটনাঃ
সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে গডকরি বলেছিলেন যে চালকদের ক্লান্তিও একটি বড় কারণ। বাণিজ্যিক চালকদের কাজের সময় নির্ধারণের জন্য সরকার শ্রম আইন অধ্যয়ন করছে। তিনি বলেন, দেশে প্রায় ২২ লাখ চালকের ঘাটতি রয়েছে, যা মেটাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে।
যানবাহন স্ক্র্যাপ নীতি এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণঃ
কর্মশালার সময়, গডকরি বলেছিলেন যে সরকার গাড়ির স্ক্র্যাপেজ নীতি দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে।এর সঙ্গে সারা দেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণ শংসাপত্র (PUCC) 2.0 কার্যকর করা হবে। BS-7 নীতি বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
চালক প্রশিক্ষণ এবং ই-রিকশা নিরাপত্তাঃ
সারা দেশে চালক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা চালু করা হচ্ছে। এর আওতায় চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার জন্য অর্থ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ই-রিকশার নিরাপত্তা বাড়াতে বিশেষ নিয়ম ও নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে।