রাজকোট: বহু বছর ধরে কনের সন্ধান করার পরে, ৩১ বছর বয়সী অজয়সিং সোলাঙ্কি (Ajaysinh Solanki) অবশেষে সুখী বিবাহিত জীবনযাপন করতে পেরে আনন্দিত ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে রিঙ্কেল পান্ডিয়ার (Rinkle Pandya) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। যাইহোক, তাদের বিয়ের দশম দিনে, সোলাঙ্কি তার জীবনের সবচেয়ে ধাক্কা পান যখন রিঙ্কেল নগদ টাকা, সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, ১৫ দিন পরে সোলাঙ্কি আবিষ্কার করন যে রিঙ্কল সেজে থাকা মহিলাটি আসলে কৌসর বানো কান্মি (Kausar Bano Kanmi), সে এমন একটি ডাকাত দলের সদস্য যারা পরিচয়পত্র জাল করে এবং হবু বরদের লুট করে। শনিবার গির সোমনাথের স্থানীয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ (এলসিবি) মুসকান মির্জা, শামিম ওরফে সীমা জোশী, নরসিংহ ভাজা এবং নাগদেব হীরালালের সাথে কৌসর বানোকে গ্রেপ্তার করে। ‘Consent of Minor Girl is Immaterial’: শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নাবালিকার সম্মতি অপ্রাসঙ্গিক, অভিযুক্তকে ১০ বছরের সাজা আদালতের
After scouting for brides for many years, 31-year-old Ajay Solanki was ecstatic that he could finally lead a happy married life. He tied the knot with Rinkle Pandya in Feb. However, on the 10th day of their marriage, Solanki got the shock of his life when Rinkle fled his house… pic.twitter.com/X70bZWYdU9
— The Times Of India (@timesofindia) March 10, 2024
গত ৮ মার্চ সূত্রপদা থানায় সোলাঙ্কি অভিযোগ দায়ের করার পর এলসিবি 'লুটেরি দুলহান গ্যাং'-এর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে। এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড মুসকানের স্বামী রিয়াজ পলাতক। এখানে হীরালাল এবং শামিম এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং তাদের গ্যাংয়ের মহিলাদের বিয়ে করে তাদের লুটে সাহায্য করে। রিয়াজ আধার কার্ড জাল করত এবং গ্যাং সদস্যদের স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট জাল করত এবং তাদের নাম ও ধর্মও পরিবর্তন করত বলে জানিয়েছেন এলসিবির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক অরবিন্দসিং জাদেজা।
সোলাঙ্কি তার বন্ধুকে তার জন্য একটি কনে সন্ধান করতে বলেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ভাজার সাথে যোগাযোগ করেন যাকে তিনি বহু বছর ধরে চেনেন। ভাজা তখন তাকে কৌসর বানুর ছবি সহ দুটি ছবি পাঠিয়ে বলেন যে তার নাম রিঙ্কেল পান্ডিয়া। সোলাঙ্কি তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরে অভিযুক্তরা তাদের বিয়ে দেয় এবং মহিলার জাল নথি নোটারি করে আমরেলি জেলার বানটভা গ্রাম পঞ্চায়েতে নথিভুক্ত করে। ভাজা, শামিম, দীপক, রিয়াজ ও কোমল সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন। ভাজা সোলাঙ্কির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং শামীম তাদের বিয়ের ঘটকালির পারিশ্রমিক বাবদ ১৪ হাজার টাকা নেয়। বিয়ের আয়োজনের জন্য মুসকান, রিয়াজ ও দীপককে ৯০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন সোলাঙ্কি।