ছত্তীসগড়, ১৩ এপ্রিল : সরকারি হাসপাতালের (Hospital) মর্গে আর জায়গা নেই। ফলে মর্গের মেঝেতে পড়ে রয়েছে সারি সারি প্লাস্টিকে মোড়ানো মৃতদেহ। ছত্তীসগড়ের (Chhattisgarh) ভীমরাও আম্বেদকর মেমোরিয়াল হাসপাতালের মর্গের ছবি দেখে শিউরে উঠেছে প্রায় গোটা দেশ।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই সরকারি হাসপাতালের মর্গে আর জায়গা নেই। ফলে একের পর এক প্লাস্টিকে মোড়ানো মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। সৎকারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না সেভাবে। যে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায় হু হু করে।
আরও পড়ুন : West Bengal Assembly Election 2021 : শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
Visuals from outside mortuary at Bhim Rao Ambedkar Memorial Hospital in Raipur
Chhattisgarh reported 13,576 fresh COVID-19 cases and 107 deaths yesterday; active cases at 98,856 pic.twitter.com/RZW8RO7gRg
— ANI (@ANI) April 13, 2021
হাসপাতাল কতৃপক্ষের কথায়, তাঁরা অনুপায়। যেভাবে প্রতিদিন করোনায় (Corona) মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এবং সৎকারের অভাবে তা পড়ে থাকছে, তার জেরে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন চিকিৎসক (Doctor) এবং চিকিৎসা কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, ওই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং বাদবাকি শয্যা সব ভরে রয়েছে। সেখানে আর কোনও রোগী ভর্তির জায়গা নেই। ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হাসপাতালে নতুন করে কোনও রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না।
হাসপাতাল কতৃপক্ষের কথায়, তাঁরা যদি ১০-২০ জনের মৃত্যুর পর মর্গে জায়গা করেন, তাহলে সেখানে মৃত্যু হচ্ছে ৫০-৬০ জনের। ফলে একদিনে কতগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবস্থা তাঁরা করবেন বলে প্রশ্ন তোলা হয়।
Horrific visuals.from Ambedkar hospital in Raipur by @Someshpatel00 Bodies of #COVID patients are piling up at mortuary faster than they can be cremated @GargiRawat @manishndtv @riteshmishraht @ranvijaylive @vinodkapri @ipsvijrk @ipskabra pic.twitter.com/9ozQ43lVfe
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) April 12, 2021
রাইপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, শ্মশানগুলিতে জায়গা মিলছে না। সেখানেও দাহ করার জন্য যেন সব সময় উপচে পড়ছে মৃতদেহ। প্রথমবার করোনা হানা দেওয়ার পর অনেক মানুষকে বাড়িতে রেখে, স্বাস্থ্যবিধি পালন করিয়ে, তাঁরা সুস্থ করেছিলেন। ফলে আয়ত্তে ছিল রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। তবে করোনার নয়া স্ট্রেন যেভাবে থাবা বসাচ্ছে, তাতে প্রায় সবকিছু হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রাইপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মীরা বাঘেল।
শুধু তাই নয়, করোনায় আক্রান্ত হলে, উপসর্গবিহীন থাকছেন অনেকে। ফলে চিকিৎসা শুরুর আগেই অনেকের হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হচ্ছে বলেও জানান মীরা বাঘেল। রাইপুর শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৫টি করে মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই করোনায় মৃত বলেও খবর।